স্পোর্টস ডেস্কঃ ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন ম্যাচ অফিসিয়াল আব্দুল হারিস। দায়িত্বে অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তাকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
ইন্দোনেশিয়ার কানজুরুজান স্টেডিয়ামে গত অক্টোবরে আরেমা এফসি ও পারসেবায়া সুরায়া ক্লাবের ম্যাচ শেষে সংঘর্ষ হয়। এরপর পদদলিত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১৫০ জন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ফুটবল লিগই এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ছিল।
পূর্ব জাভার মালাং অঞ্চলের ওই মাঠে ম্যাচ শেষে দাঙ্গায় আর পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষ মারা যান। বৈশ্বিক গণমাধ্যম রয়টার্স জানায়, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের দর্শকরা তৈরি করেন বিশৃঙ্খলা, জড়িয়ে পড়েন সংঘর্ষে। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করলে সমর্থকরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যান। সেসময় পদদলনে অন্তত ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে মিলিয়ে ৩২ শিশুও নিহত হয়েছেন।
আরেমা এফসির অন্তত ৩ হাজার সমর্থক ম্যাচের পর মাঠে ঢুকে পড়ে। পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে থাকলে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। এ ঘটনায় আরেমা এফসিকে ২৫ কোটি ইন্দোনেশিয়ান রুপি জরিমানা করা হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার কমিশনের তদন্তের পর জানা যায়, পুলিশ সেদিন ৪৫ রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ছুড়েছিল। ফিফার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, মাঠে নিরাপত্তাকর্মীরা কখনোই আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা ‘দর্শক নিয়ন্ত্রণে গ্যাস’ ব্যবহার করতে পারেন না। সুরাবায়ার আদালতের বিচারক বুধবার রায় ঘোষণার সময় বলেন, ম্যাচ অফিসিয়াল হারিসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে কারণ, তার অবহেলার কারণে মানুষ মারা গেছে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post