স্পোর্টস ডেস্ক:: লিওনেল মেসির পাসপোর্ট আছে দু’টি। একটি নিজ দেশ আর্জেন্টিনার। অপরটি স্পেনের। প্রীতি ম্যাচের জন্য তিনি চীনে যান, কিন্তুু তখন সাথে নিয়ে যান স্পেনের পাসপোর্ট। অথচ তার স্প্যানিশ পাসপোর্টে ছিলো না চীনের ভিসা।
বিমানবন্দরে নামার পরই তাই চীন পুলিশ ঘিরে ধরে মেসিকে। স্পেনের পাসপোর্টে ভিসা না থাকায় কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয় তাকে। ঘন্টা খানেক পর এন্ট্রি ভিসা দিয়ে তাকে টিম বাসে তুলে দেয় বেইজিং বিমানবন্দরের পুলিশ সদস্যরা।
প্রীতি ম্যাচ খেলতে এই মূহুর্তে চীনে অবস্থান করছেন মেসি। আগামি ১৫ জন বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। নিজের ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে ১০ জুন বেইজিংয়ে যান মেসি। এসময় ডি মারিয়াসহ আরো কয়েকজন আর্জেন্টাইন ফুটবলার তার সঙ্গী হোন।
বিশ্বকাপ জয়ী তারকার স্প্যানিশ পাসপোর্টে ছিলো তাইওয়ানের ভিসা। মেসি চীনকে তাইওয়ান মনে করেন। সেকারণেই তিনি ওই পাসপোর্ট নিয়ে বেইজিংয়ে চলে যান। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’ তাদের এক প্রতিবেদনে এমন বিস্ময়কর খবর দিয়েছে। প্রতিবেদনে তারা জানায়, মেসি নাকি চীনকে তাইওয়ান ভেবে স্পেনের পাসপোর্ট নিয়ে যান। কিন্তু তার স্প্যানিশ পাসপোর্টে চীনের ভিসা ছিল না। ছিল আর্জেন্টিনার পাসপোর্টে। প্রকাশিত ভিডিওতেও দেখা যায়, মেসির হাতে একটি পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাকে ঘিরে রয়েছেন চীনের কয়েকজন পুলিশ সদস্য। মেসি বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে নাকি জানতে চান, ‘তাওয়ান-ই কি চীন নয়?’
চীনের পুলিশ সদস্যরা এসময় বিশ্বকাপ জয়ী তারকার প্রতি বেশ আন্তরিক ছিলেন। তারা ভুলটি ধরিয়ে দেন এবং তাকে এন্ট্রি ভিসা দিয়ে দ্রুত টিম বাসে তুলে দেওয়া হয়। সতীর্থদের সঙ্গে মেসি এরপরই টিম হোটেলে যান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post