নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারলো না খুলনা টাইগার্স। এবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে হারের দেখা পেল দলটি। খুলনাকে ৩৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ পরই জয়ে ফিরলো সাকিব আল হাসানের দল।
ব্যাট হাতে সাকিব-ইফতেখাররা আলো ছড়ানোর পর বল হাতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন করিম জানাত। একাই শিকার করেছেন ৪ উইকেট। যদিও ৬০ রানের ক্যামিও খেলে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন খুলনার অধিনায়কত্ব হারানো ইয়াসির আলি রাব্বি।
বরিশালের দেওয়া ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় খুলনা। এরপর ৪৪ রানের ভালো এক জুটি গড়েন অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও অধিনায়ক শাই হোপ। কিন্তু দুজনের জুটি ভাঙার পর দ্রুতই আরও দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে দ্রুত। ৫৪ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় খুলনা।
এরপর ৮১ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির আলি ও নাহিদুল ইসলাম। তবে এক প্রান্তে ইয়াসির দারুণ খেললেও, নাহিদুল ধীর গতিতে ব্যাট করেন। যার ফলে রান ও বলের পার্থক্য বেড়ে যায়। দুজনই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত খুলনার ইনিংস থামে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে।
দলের পক্ষে ৩৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কার মারে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রাব্বি। ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৭ রান আসে শাই হোপের ব্যাট থেকে। ২৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৪ রান করেন নাহিদুল ইসলাম।
বরিশালের হয়ে ২৯ রান খরচায় একাই ৪ উইকেট নেন করিম জানাত। ৩৬ রান খরচ করে খালেদের শিকার ২ উইকেট। অধিনায়ক সাকিব ও ওয়াসিম জুনিয়র ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বিশাল পুঁজি পায় বরিশাল। দলের শুরুটা ভালো হলেও, মাঝে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। তবে সাকিব ও ইফতেখার সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন।
এর মধ্যে ৩১ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ের মারে ৫১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার আহমেদ। ২১ বলে ১ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কার মারে ৩৬ রান করেন সাকিব। এছাড়া ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন একাদশে সুযোগ পাওয়া ফজলে রাব্বি।
খুলনার হয়ে ৩ উইকেট নিলেও, ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেন একাদশে সু্যোগ পাওয়া ইফতেখার। নাহিদুল ইসলাম ও মুরাদ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post