স্পোর্টস ডেস্ক:: তাওহীদ হৃদয়। জাতীয় দলে আসার পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন। মাঝে দু’একটি ম্যাচ খারাপ গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই রানে ফিরেছেন। সুপার ফোরে টাইগার সমর্থকদের হৃদয় জেতা ইনিংস খেলেও দলের হার এড়াতে পারেননি। ২১ রানের হারে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে।
ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ খেলেই ফিরতি বিমানে উঠতে হবে টাইগারদের। পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সুপার ফোরেই শেষ বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন।
২৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের হয়ে লড়াইটা করেছেন কেবল হৃদয়ই। খেলেছেন ৮২ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। ৮৪’র বেশি সাত চার আর এক ছক্কায় সাজিয়েছেন ৯৭ বলের দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটি। তার বিদায়ের পরই বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ২৩৬ রানে।
মাঝারি লক্ষ্যকে ছুঁতে যাওয়া বাংলাদেশ লড়াই করতে পারেনি খুব একটা। হৃদয় ছাড়া অন্যরা হাতশ করেছেন। ত্রিশের ঘর ছুঁতে পারেনিন অন্য কোনো ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করে মুশফিক হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। তার বিদায়ের পরই পথ হারাতে থাকে টাইগাররা। হৃদয় এক প্রান্ত আগলে রাখলেও শেষ পর্যন্ত তিনি হার মানেন। আরেকটি হতাশার গল্প যোগ হলো লাল-সবুজ ক্রিকেটের ইতিহাসে।
শ্রীলঙ্কার করা ২৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান জমা করে বাংলাদেশ। ১২তম ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকার শর্ট লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি মিরাজের। ক্যাচ গেছে মিডউইকেটে।
দলীয় ৫৫ রানে ভেঙেছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। তাতে মিরাজের অবদান ২৯ বলে ২৮ রান। ৪ চার হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে মিরাজের পর শানাকা ফেরান আরেক ওপেনার নাঈমও। বাঁহাতি এই ব্যাটার বুঝেই উঠতে পারেননি শানাকার শর্ট বলটা। ব্যাট সরিয়েও নিতে পারেননি, শেষ মুহূর্তে ব্যাট চালাতে বা নামাতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছেন ক্যাচ। ৪৬ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। তবে এই ইনিংসে তিনি বেশ কয়েকটি দৃষ্টিকটু শট খেলতে চেয়েছেন। আউট হয়েছেন প্রশ্নবিদ্ধ!
তৃতীয় উইকেটে লিটন দাসকে সঙ্গ দিতে আসেন সাকিব আল হাসান। তাকে থিতু হতে দেননি পাথিরানা। দুনিথ ওয়েলালাগের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ রান করা লিটনও। পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের হাল ধরেন হৃদয় ও মুশফিক। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ একশো ছাড়িয়ে যায়। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন মুশি। তবে তাদের জমে উঠা জুটি ভাঙেন দাসুন শানাকা।
বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিক ফিরেন ২৯ রান করে। ৭৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন হৃদয়। এরপর শামিমকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি থিকশানা। ডানহাতি এই স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫ রান করা এই ব্যাটার। এই স্পিনারের বলে আউট হন হৃদয়ও। ৮২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তরুণ এই ব্যাটার। তাসকিন আহমেদকেও আউট করেন থিকশানা। শেষ দিকে নাসুম আহমেদের ১৫ ও হাসান মাহমুদের ১০ রান কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
এর আগে ব্যাট করে সাদিরা সামারাবিক্রামা ও কুশাল মেন্ডিসের ফিফটিতে ২৫৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। অপরাজিত ৭২ বলে ৯৩ রান করেন সাদিরা। ৭৩ বল মোকাবিলায় ৫০ রান করেন মেন্ডিস। ৬ চার ও ১ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। আর তাতেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে দ্বীপ দেশটি। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার হাসান মাহমুদ। তিনি ৫৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তাসকিন আহমেদও পেয়েছেন ৩ উইকেট।
Discussion about this post