স্পোর্টস ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ সুপার ওভার দেখা গেলো। সোমবার সকালে বার্বাডোজে ওমানের বিপক্ষে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে সুপার ওভারে জয় পেল নামিবিয়া। তাদের ইনিংসের শেষ ওভার থেকেই রোমাঞ্চের শুরু। শেষ ওভারে দলটির জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট।
ওভারের প্রথম বলেই ইয়ান ফ্রাইলিংককে বোল্ড করেন ওমানের পেসার মেহরান খান। তৃতীয় বলে জেন গ্রিনকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন মেহরান। শেষ বলে যখন ২ রান দরকার, তখন ডেভিড ভিজে কাট করতে গেলে বল মিস করেন। ওমানের উইকেটরক্ষক নাসিম খুশি প্রথমে বল তালুবন্দী করতে পারেননি। এমনকি যে রান আউট করলে ম্যাচ ‘খুশি’ মনে ওমান জিতে যেত, সেটা করতেও ব্যর্থ দলটির উইকেটরক্ষক। ভিজে এক রান নিলে নামিবিয়ার স্কোর হয়েছে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৯ রান।
ফলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে। এবারের বিশ্বকাপে এটাই প্রথম সুপার ওভার। আর এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে চতুর্থ টাই ম্যাচ এটি। সুপার ওভারে ফল নির্ধারণ হওয়া তৃতীয় ম্যাচ। সবশেষ ২০১২ সালে উইন্ডিজ ও নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। একই আসরে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড লড়াইয়ের ফলও আসে সুপার ওভারে। এদিকে আজ আগে ব্যাট করে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান। অল্প রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় নামিবিয়া। রান উঠার আগেই প্রথম ওভারে বিলাল খানের করা দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন ওপেনার মাইকেল ফন লিনজেন। এরপর ধীরেসুস্থে ব্যাট চালাতে থাকেন দলটির ব্যাটাররা। নিকোলাস ডেভিন ও ইয়ান ফ্রাইলিঙ্কের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটে হয় ৪২ রানের জুটি।
৩১ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন ডেভিন। অধিনায়ক জেরহার্ড এরাসমাস আউট হন ১৩ রান করে। কিন্তু ফ্রাইলিঙ্ক হাল ধরে রাখেন শক্তভাবে, পাশাপাশি ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে রানও তুলে নিচ্ছিলেন তিনি। অন্যপ্রান্তে জেজে স্মিত আউট হন ৮ রান করে। দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান ফ্রাইলিঙ্ক। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভুত এ অলরাউন্ডার ৪৮ বলে ৪৫ রান করে শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হলে পরিস্থিতি বদলে যায়, সেটা আরও ঘোলাটে হয় মেহরান খানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে। দ্বিতীয় বলটি ডট দেন মেহরান। তৃতীয় বলে নেন জন গ্রিনের উইকেট। শেষ তিন বল খেলে আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি নামিবিয়া। ভিজে ও এরাসমাসের কল্যাণে সুপার ওভারে ২১ রান করে নামিবিয়া।
ভিজে একাই ১টি করে চার ও ছয় মারেন। এরাসমাস ২ বলে করেন ৮ রান। জবাবে ভিজের ওভারে ১ উইকেটে মাত্র ১০ রান করতে সক্ষম হয় ওমান। ভিজেই হন সুপারওভারের নায়ক, ম্যাচসেরাও বটে। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই রুবেন ট্রাম্পেলম্যানের তোপে পড়ে ওমান। ম্যাচের প্রথম দুই বলে অসাধারণ দুটি ইয়র্কারে কাশ্যাপ প্রজাপতি ও আকিবকে ফেরান বাঁহাতি পেসার। পরের ওভারে নাসিমকেও আউট করেন তিনি। শুরুর ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ওমান। খালিদ কাইল ৩৯ বলে ৩৪, জিশান মাকসুদ ২০ বলে ২২ রান করে দলকে কোনোমতে একশ পার করান। সব মিলিয়ে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন ট্রাম্পেলম্যান। বিশ্বকাপে নামিবিয়ার কোনো বোলারের সেরা বোলিং এটি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post