নিজস্ব প্রতিবেদক:: জাতীয ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে দারুণ শুরু করেছে সিলেট বিভাগ। নিজেদের ঘরের মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগকে মাত্র ১৯৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন সিলেটের বোলাররা। প্রথম দিনেই সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম দুইয়ে দুই দল মিলিয়ে উইকেটে পড়েছে ১৫টি। দিন শেষে সিলেট বিভাগীয দল পিছিয়ে আছে ৮৪ রান।
আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল ৪৫.২ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। সিলেটের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চট্টলার ইয়াসির আলি রাব্বি ছাড়া কোনো ব্যাটারই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ৯১ বলের ইনিংসে তিনি চার হাঁকিয়েছেন নয়টি, ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনটি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
রাজা, তোফায়েল-রাহীদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরিততেই উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। ৫৭ বলে ৩৩ রান করেন সাজ্জাদুল হক ইমন। ২৪ রান করেন শামীম পাটোয়ারী। ২০ বলের ইনিংসে তিন চার ও এক ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি চট্টগ্রামের অন্য কোনো ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৯৮ রানেই থামতে হয় তাদেরকে।
সিলেটের হয়ে তোফায়েল ও রাজা ৩টি করে, আবু জায়েদ রাহী ২টি, নাসুম ও নাঈম ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা সিলেটের শুরুটাও ভাল হয়নি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৮ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার তুষার। এই ওপেনার করেন ৭ রান। সিলেটের অধিনায়ক জাকির হাসানও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ বলে ১৩ রানেই ফিরেন সাজঘরে। তার বিদায়ে দলীয় ২২ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তিনে নামা পিনাক ঘোষও ফিরেন দ্রুত। জাকিরের বিদায়ের পর ইনিংসের ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৬৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৪৩ বলে করেন ২০ রান।
দ্রুত তিন উইকেট হারানো সিলেট চতুর্থ উইকেটও হারায় দ্রুত। দলীয় ৮৫ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটে ফিরে যান উইকেটরক্ষক অমিত হাসান। ৮২ বলে করেন ২৭ রান। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা মাইশুকুর রহমান রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেন প্যাভেলিয়নে। জাকির হাসানের দল পঞ্চম উইকেট হারায় দলীয় ৮৫ রানে ইনিংসের ২৯তম ওভারের পঞ্চম বলে। দিন শেষে ১৭ রানে গালিব ও ২১ রানে নাসুম অপরাজিত আছেন। সিলেট ৩৮ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১১৪ রান তুলেছে।
চট্টগ্রামের হয়ে ইরফান ২টি, ফাহাদ ও হাসান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০