স্পোর্টস ডেস্ক:: সৌদীর প্রো লিগের সফলতম ক্লাব নেইমারদের আল হিলাল। সর্বোচ্চ ১৮ বার শিরোপা জিতেছে দলটি। অথচ সেই দলকেই কিনা একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া উজবেকিস্তানের ক্লাব নাভবাহোর রুখে দিয়েছে।
উজবেকিস্তানের সর্বোচ্চ লিগ সুপার লিগে মাত্র একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাভবাহোর। ১৯৯৬ সালে মাত্র একবার শিরোপা জিতো ক্লাবটি এএফসি কাপে প্রথম দেখায় সৌদীর ১৮ বারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব আল হিলালকে রুখে দিয়েছে।
এফএসি কাপের ম্যাচে রীতিমতো হারতে বসে ছিলো আল হিলাল। ম্যাচের শেষ মূহুর্তে রক্ষা পেয়েছে নেইমারদের ক্লাবটি। পিছিয়ে পড়া আল হিলাল শেষ পর্যন্ত নাভবাহোর বিপক্ষে ১-১ গোলের ‘ড্র’ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। সৌদীর চ্যাম্পিয়ন আল হিলালকে রুখে দিয়েছে উজবেকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন নাভবাহোর।
রাতের ম্যাচে নাভবাহোর প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিলো আল হিলালকে। যোগ করা সময়ের গোলে হার এড়িয়েছে সৌদীর ক্লাবটি। আক্রমণের পর আক্রমণ করেও নির্ধারিত সময়ে গোলের দেখা পায়নি হিলাল। নেইমারদের একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়ে নাভবাহোর পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে।
পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে আল হিলাল। ৭৫ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলো দলটি। পাসিং ফুটবলে মুগ্ধ করেছে সমর্থকদের। দুই ম্যাচটির প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শুন্য সমতায়। আক্রমণের পর আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি হিলাল। নেইমাররা একাধিক সিযোগ মিস করেন। নিজেরা গোল দিতে না পারলেও তারকার হিলালকে টিকই রাটকে রাখে নাভবাহোর।
দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ পেয়েই কাজে লাগায় নাভবাহোর। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে তোমা তাবাতাদজের একমাত্র গোলে লিড নেয় নাভবাহোর। ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া দলটি আর কোনো গোল করতে না পারলেও্ লিড ধরে রেখে ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ করে দলটি।
নির্ধারিত সময়ে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে আল হিলাল ঘুরে দাঁড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যোগ করা সময়ের ১০ম মিনিটে অর্থাৎ ম্যাচের ১০০তম মিনিটে আলী আলবুলাইয়ার গোলে ম্যাচে ফিরে হিলাল। স্কোর লাইন হয় ১-১ গোলে।
বিরতির পর শুরুতেই গোল হজম করা আল হিলাল ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে। একাধিক আক্রমণ করে, তবে সুযোগ মিসের খেসারত দিয়ে ১-১ গোলের ‘ড্র’ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদেরকে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post