স্পোর্টস ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনায় থাকলেও, এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ। তবে ধীরে ধীরে সব গুছিয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামের কাজ নিয়ে মহাপরিকল্পনা ক্রিকেট বোর্ডের।
দেশের এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠ ও গ্যালারির কাজ একইসাথে চলবে। আগে মাঠের কাজ শেষ হবে। এরপর সেখানে খেলা চলবে। এর মাঝেই গ্যালারি তৈরির কাজ চলবে। সব কাজ একত্রেই হবে। মূলত বিসিবির ব্যস্ত ঘরোয়া এবং অন্যান্য সুচিকে মাথায় রেখেই এই চিন্তা।
এই কাজটি করতে বিসিবি অনুপ্রেরণা পাচ্ছে ভারতের বিখ্যাত মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে ঘিরে। ২০১১ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সেখানে মাঠ ও গ্যালারির কাজ একত্রে করা হয়েছিল। এই মাঠেই বিশ্বকাপের ফাইনালসহ ৩টি ম্যাচ হয়েছিল। একইভাবে বিসিবিও চায় মাঠ ও গ্যালারির কাজ একসাথে করতে।
এই প্রসঙ্গে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেন, ‘ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের কথা চিন্তা করলে, ২০১১ বিশ্বকাপের সময় সময় স্বল্পতার জন্য মাঠের কাজটাও একই সঙ্গে শুরু করেছিল। যখন গ্যালারি তৈরি করা গেছে তখন খেলা পরিচালনা করা গেছে, সেখানে বিশ্বকাপের ফাইনালও হয়েছিল।’
‘আমাদের মাঠের স্বল্পতা রয়েছে। বিসিবি যে পরিমাণ খেলা আয়োজন করে তা করা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে ঢাকা শহরে। সেটা মাথায় রেখেই আমরা মূল মাঠ ও আউটার স্টেডিয়ামের উইকেটগুলো তৈরি করা শুরু করবো। আমরা যদি উইকেটগুলো তৈরি করতে পারি বা ড্রেনেজ ও ফিলিংটা দরকার সেটা আমরা করে ফেলতে চাই।’
৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামের প্রাথমিকভাবে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। তবে সেটিও ছাড়াতে পারে। মূলত শুধুমাত্র স্টেডিয়াম নয়, থাকবে আউটার, একাডেমি, বিসিবির নিজস্ব অফিস, হোটেলসহ অন্যান্য ব্যবস্থাও। আর এর পুরোটা ব্যয় হবে বিসিবির নিজস্ব ফান্ড থেকে। এই প্রসঙ্গে মাহবুব আনাম তুলনা টানেন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের।
এই প্রসঙ্গে মাহবুব আনাম বলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কনস্ট্রাকশন খরচ কম হয়। আপনি যদি মোতেরা স্টেডিয়ামের (আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম) কথা ধরেন, ওটা ইন্ডিয়ান রুপিতে ৭০০/৮০০ কোটি টাকায় হয়েছিল। তো ওটাকে যদি আপনি একটা মানদণ্ড ধরেন, তার তুলনায় কিছুটা কম হলেও হবে। কারণ সেখানে ১ লাখ ১০ হাজার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম।’
‘৫০০ কোটি কি না তা বলা কঠিন, কারণ আপনি একটা জিনিস দেখবেন যে এখানে খালি মাঠ নয়, এখানে আমাদের একাডেমি ভবন হচ্ছে, বিসিবির একটা নিজস্ব ভবন হচ্ছে। একটা হোটেলের জায়গা ড্রয়িং করা অবস্থায় থাকবে, পরে আমরা এটা কনস্ট্রাকশনে যাব।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post