স্পোর্টস ডেস্ক:: বাফুফের চেয়ারে যেই বসেছেন কাজী সালাউদ্দিন, যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছেন ফেডারেশনকে। ফিফা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে বাফুফের সাধারণ সম্পাদককে। আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মাঠের ফুটবল একেবারে তলানিতে। মাঠের দৈন্যদশার সঙ্গে বাফুফে কর্তাদেরও ব্যর্থতায় ফুটবল যেনো হারিয়েই যাচ্ছে। তবুও ভালেশহীন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
বাফুফের দুর্নীতি, অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বেশ চটেছেন কাজী সালাউদ্দিন। সাংবাদিকদের পরিবার নিয়ে করেছেন কটুক্তি। এর আগে নারী দলকে মিয়ানমার পাঠিয়ে লুটপাট করতে চেয়েছিলো ফেডারেশন, তবে পারেনি। যার কারণে নারী দলকেই পাঠায়নি মিয়ানমারে। দায় চাপিয়ে ছিলো সরকারের উপর।
এরপর সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পুরো দায় যে বাফুফের সেটা তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। ফুটবল ফেডারেশনের উপর ক্ষুব্ধ সরকারও। তার ওপর ফিফার নিষেধাজ্ঞা, সাংবাদিকদের পরিবার নিয়ে কটুক্তি, সব মিলিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার যাচ্ছে কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, তিনি ১৪ মে প্রধনামন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে বাফুফের অনিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এমনকি বাফুফের তদন্ত কার্যক্রমও মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের পরিবার নিয়ে যে কটুক্তি করেছেন তারা মানা যায় না উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘যখন কথা বলি, তখন কাদের নিয়ে কথা বলছি, কী বলছি বা কতটুকু বিসয় নিয়ে বলছি, এবিষয়গুলো নিয়ে একটু সতর্ক হওয়া উচিত। আসলে এত অশালীন উক্তি মানা যায় না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাফুফের বিষয় নিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আগামি ১৪ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছি। সেদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post