স্পোর্টস ডেস্কঃ ঐতিহাসিক লর্ডসে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন জিমি অ্যান্ডারসন। তাকে বিদায় দেয়ার কথা মাথায় রেখেই এই টেস্ট ম্যাচটি আয়োজন করা হয়েছে লর্ডসে। ক্রিকেটের তীর্থভূমি থেকে বিদায় নিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা নক্ষত্র। তাও আবার বড় জয় দিয়ে।
অ্যান্ডারসনের বিদায়ী ম্যাচটি তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই জিতল ইংল্যান্ড। শুক্রবার তারা ক্যারিবিয়ানদের হারায় ইনিংস ও ১১৪ রানে। তিন টেস্টের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বেন স্টোকসের দল। প্রথম ইনিংসে ১২১ রানে গুটিয়ে যাওয়া সফরকারীরা দ্বিতীয়ভাগে করতে পারে ১৩৬ রান। আর একমাত্র ইনিংসে স্বাগতিকরা করে ৩৭১ রান।
জীবনের শেষ টেস্টে ৪ উইকেট নিয়ে অ্যান্ডারসন বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি এই সংস্করণে ইংল্যান্ডের সেরা পেসার। অনন্য কীর্তি গড়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন এই ইংলিশ বোলার। ১৮৮টি টেস্ট ম্যাচে ৪০,০৩৭টি ডেলিভারিতে ৭০৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এতে শেন ওয়ার্নের ৭০৮ উইকেটের কীর্তি ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও সব মিলিয়ে তৃতীয় এবং যেকোনো পেসার হিসেবে টেস্ট উইকেটে প্রথম অবস্থানে থেকেই টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী এই তারকা।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষেই ইংল্যান্ডের জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তৃতীয় দিনে প্রয়োজন ছিল আর ৪ উইকেট। ক্যারিবিয়ানদের শেষ উইকেট যাতে অ্যান্ডারসন নিতে পারেন, এজন্য তাকে দিয়েই বোলিং করাচ্ছিলেন অধিনায়ক স্টোকস। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। শেষদিকে জিমিকে কিছুটা হলেও অন্যমনস্ক লাগছিল। বাইশ গজকে বিদায় জানানোর দুঃখবোধ হয়তো গ্রাস করেছিল তাকে। ২১ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষ হলো মাথা উঁচু করেই। লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে দুই দলের ক্রিকেটাররা জিমিকে গার্ড অব অনার দেয়। ম্যাচের আগে বলেছিলেন তিনি আবেগকে সংবরণ করবেন। কথা রেখেছেন অ্যান্ডারসন। মনের ভেতর ঝড় বয়ে গেলেও তাকে ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি। সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছেন। গ্যালারিতে বসা তার স্ত্রীর চোখ তখন ছলছল করছিল। গোটা গ্যালারি দাঁড়িয়ে তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনির মাধ্যমে বিদায় জানাচ্ছিল ইংলিশ পেস কিংবদন্তিকে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post