স্পোর্টস ডেস্ক:: টেস্ট ও টি-২০ থেকে অবসর নিলেও সাকিব নিজেই জানিয়েছেন তিনি ওয়ানডে খেলতে চান আগামি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। আগামি নভেম্বরে সংযুক্ত আরব-আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সাকিব সেই সিরিজের খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে ছিলেন একটি গণমাধ্যমের কাছে।
তবে এবার তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জানিয়েছেন, আফগানিস্তান সিরিজে খেলবেন না। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমদ যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, তিনি এই সিরিজে খেলবেন না। চট্টগ্রামে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
যদিও আগের দিন বোর্ড মিটিংয়ের পর ফারুক আহমদ জানিয়ে ছিলেন, আফগানিস্তান সিরিজে সাকিব খেলতে পারেন। তবে তিনি এও জানিয়ে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এই ক্রিকেটারের সাথে কথা বলবেন। কথা বলার পর এবার জানালেন, সাকিব আগ্রহী নয় আফগানিস্তান সিরিজে।
আগামী ৬ নভেম্বর শারজায় শুরু হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর বাংলাদেশ দল যাবে ওযেস্ট ইন্ডিজ সফরে। ক্যারিবিয়ান সফরেও আছে ওয়ানডে সিরিজ। সাকিব আল হাসান সেই সিরিজে খেলবেন কিনা সে ব্যাপারে অবশ্য কিছু বলেননি বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমদ। তিনি কেবল আফগান সিরিজ নিয়েই কথা বলেছেন।
আফগানিস্তান সিরিজে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেরনে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমদ বলেন ‘সাকিব যখন চেষ্টা করছিল টেস্টের জন্য, আসতে পারছিল না। আমি কথা বলেছি তার সঙ্গে। ওর অনুশীলনও নাই। তার আসলে সময় দরকার। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তার পরের সিরিজে খেলার অবস্থা মনে হচ্ছে নেই।’
ঢাকায় বুধবার বোর্ডের সভা শেষে ফারুক আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “আপনি যেটা বললেন যে, শেষ টেস্ট খেলতে (ফিরতে পারেনি)… একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান (তাদের ব্যাপার)..। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।”
সাকিবের ইস্যুতে সরকার এবং ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ এক নয় জানিয়ে বিসিবি বস আরো বলেন,“কিন্তু সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে, গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকালের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।”
সাকিব দেশে না আসাতে বোর্ডের করার কিছু ছিলো না জানিয়ে ফারুক আহমদ বলেন, “আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে, একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে, এজন্য আম মনে করেছি, এটা (দেশ থেকে অবসর) হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে আপনার। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না।”
সাকিব ইস্যুতে আর কথা বলে লাভ নেই মন্তব্য করে বিসিবি সভাপতি ফারুক বলেন“এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত আছে। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।”
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০