স্পোর্টস ডেস্কঃ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। ৬৩৩ রানের ম্যাচে দুই দলের লড়াইয়ে শেষটা জয় দিয়েই রাঙালো ইংলিশরা। দল বাঁচলো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে। তবে ম্যাচ হারলেও, ঘরের মাঠে প্রোটিয়া দল ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে।
কিম্বার্লিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৬ রানের বিশাল পুঁজি পায় ইংলিশরা। জোড়া সেঞ্চুরি এসেছে ডেভিড মালান ও অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাট থেকে। ১২৭ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কার মারে ১৩১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন বাটলার। কম যাননি মালানও। ১১৪ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কার মারে ১১৮ রান করেন মালান।
এছাড়া ২৩ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কার মারে ৪১ রানের ক্যামিও খেলেন মঈন আলি। অথচ শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না ইংল্যান্ডের। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দলটি। সেখান থেকে ২৩২ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়ে ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেন মালান ও বাটলার।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪টি উইকেট একাই শিকার করেন লুঙ্গি এনগিডি। মার্কো জেনসেন নেন ১ উইকেট।
৩৪৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও, লক্ষ্যে পৌঁছাতে মারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। মাঝের দিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে বড় জুটি থেকে বঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৪৩.১ ওভারে ২৮৭ রানেই গুঁটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পর্যাপ্ত ওভার থাকলেও, উইকেট না থাকায় জয় থেকে বঞ্চিত হয় দলটি।
দলের পক্ষে ৬২ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন হেনরিখ ক্লাসেন। ৬১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫২ রান করেন ওপেনার রেজা হেনড্রিকস। ৩৯ রান আসে এইডেন মার্করামের ব্যাট থেকে।
ইংল্যান্ডের হয়ে একাই ৬ উইকেট শিকার করেন জোর্ফ্রা আর্চার। ৯.১ ওভার বল করে এক মেইডেনসহ ৪০ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করে ক্যারিয়ার সেরা ওয়ানডে বোলিং ফিগার পেয়েছেন ইনজুরি থেকে ফেরা এই তারকা পেসার। এছাড়া আদিল রশিদ নেন ৩ উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post