স্পোর্টস ডেস্কঃ কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেছে ইকুয়েডর। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভয়ডরহীন ফুটবলে ম্যাচটা নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগও পেয়েছে দলটি। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতা, পেনাল্টি মিস ও সবশেষ টাইব্রেকারে গিয়ে লড়াই করতে না পারায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে দলটির। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকার পর, টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে আসর থেকে ছিটকে গেল দলটি।
এমন হারের পরই কোচ ফেলিক্স সানচেজকে বরখাস্ত করেছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ)। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই এক বিজ্ঞপ্তিতে এফইএফ জানিয়েছে, সমঝোতার ভিত্তিতে ফেলিক্স সানচেজের সাথে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের ইতি টানছেন তারা। ফেলিক্স এবং তার কোচিং স্টাফের পেশাদারিত্ব ও কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে সফলতা কামনা করেছে।
২০২৩ সালের মার্চে দায়িত্ব নেওয়ার পর চার বছরের চুক্তির মাত্র ১৫ মাসের মাথায়ই এবার চাকরি হারালেন ফেলিক্স। স্প্যানিশ এই কোচের অধীনে ১৯টি ম্যাচ খেলেছে ইকুয়েডর। এর মধ্যে ১০টি ম্যাচেই জিতেছে দল। লাতিন অঞ্চলে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়েও ভালো করছে ইকুয়েডর। ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, চিলির মতো দলগুলোর উপরে অবস্থান তাদের (টেবিলের পাঁচ নম্বরে)। ৬ ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতেছে ইকুয়েডর।
বার্সেলোনার যুব দল দিয়ে কোচিং শুরু করেছিলেন ফেলিক্স। এরপর কাতারে কাজ করেছেন। কাতার জাতীয় দলের দায়িত্বও পালন করেন। দলটিকে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ জিতিয়েছেন ২০১৯ সালে। এর বাইরেও বিভিন্ন পর্যায়ের টুর্নামেন্টে নিয়মিত নকআউট খেলেছে কাতার তাঁর অধীনেই। ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে স্বাগতিক কাতারের চরম ব্যর্থতার পর সেই বছর ৩১ ডিসেম্বর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় তার। এরপর ২০২৩ সালে দায়িত্ব নেন ইকুয়েডরের। এবার সেখানে চাকরি হারালেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post