স্পোর্টস ডেস্ক:: দু্ই দল সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলো প্রায় এক বছর। ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমার অস্ট্রেলিয়া খেলেছে এক দিনের ক্রিকেট, পাকিস্তানও এক বছর পর মাঠে নেমেছিলো এক দিনের ক্রিকেটে। বছর বিরতি দিয়ে মাঠে নামা দুই দলের ওয়ানডে ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সফরকারী পাকিস্তানকে দুই উইকেটে তারা হারিয়েছে প্যাট কামিন্সের ব্যাটে ভর করে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে লিড নিলো স্বাগতিকরা।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তান প্রথম ব্যাট করে নাসিম, রিজওয়ান-বাবরদের ব্যাটে চড়ে ২০৩ রান তুলতে পেরেছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া একটা সময় হারের শঙ্কায় পড়েছিলো। তবে প্যাট কামিন্স দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে দুই উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুতেই উইকেট হারায়। দলীয় ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারানো দলটি ২৪ রানেই হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ওপেনার সিয়াম আয়ুব ১ রানে ফেরার পর আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ফিরেন ১২ রানে। এরপরই তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন অধিনায়ক রিজওয়ান ও বাবর। দু’জনের জুটি থেকে আসে ৩৯ রান। পাকিস্তান ইনিংসের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ইনিংসের ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৬৪ রানে বাবরের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। চার চারে ৪৪ বলে ৩৭ রান করেন বাবর আজম।
বাবরের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। উইকেটে আসা কামরান গোলাম ব্যক্তিগত ৫ রানের ফিরেন প্যাভেলিয়নে। শতরান পেরুতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। রিজওয়ানের ৭১ বলে ৪৪ রানের সঙ্গে নাসিম শাহের ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংসে পাকিস্তান দুইশো পার করে। এছাড়াও ২২ রান করেন ইরফান খান। ২৪ রান করেন শাহিন শাহ আফ্রিদী। ৪৬.৪ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক ৩টি, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
২০৪ রানের জবাবে খেলতে নামা অস্টেলিয়াও শুরুটা ভাল করেনি। দ্রুতই ফিরেন যান দুই ওপেনার। ২৮ রানে দুই উইকেট হারানো দলটি এরপর স্মিথ ও ইংলিসের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরে। তৃতীয় উইকেটে এই দু’জনে মিলে গড়েন ৮৫ রানের জুটি। দলীয় ১১৩ রানে, ইনিংসের ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে স্টিভেন স্মিথের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। মাত্র ছয় রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ছয় চারে ৪৬ বলে করেন ৪৪ রান।
স্মিথের বিদায়ের পরপরই সাজঘরে ফেরেন জস ইংলিসও। তিনিও মিস করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। মাত্র এক রানের জন্য ফিফটির আগে ফিরেন প্যাভেলিয়নে। সাত চার ও তিন ছক্কায় ৪২ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার বিদায়ের পর দ্রুত আরো চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্তণে নিয়ে নেয় পাকিস্তান।
তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান পারেনি। প্যাট কামিন্স ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। অস্টম উইকেটে ৩০ রানের জুটির পর নবম উইকেটে ১৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করেন তিনি। অপরাজি থাকেন ৩১ বলে ৩২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে। চার চারে সাজান ম্যাচ জয়ী ইনিংসটি। ১২ বলে ২ রানে অপরাজিত থেকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মিচেল স্টার্ক। আট উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে অজিরা।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ তিনটি ও শাহিন শাহ আফ্রিদী ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০