স্পোর্টস ডেস্ক:: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট মানেই ‘বিতর্ক’ থাকতো। ডিআরএস নিয়ে আগের আসরগুলোতে কম ‘বিতর্ক’ হয়নি। এডিআরএস দিয়ে কাজ চালাতে গিয়ে রীতমতো তোপের মুখে পড়ে ক্রিকেট বোর্ড।
এবার আগামি বিপিএলের শুরু থেকেই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) রাখছে ক্রিকেট বোর্ড। আগামি বছরের জানুয়ারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি এই লিগ শুরু করতে চায় বিপিএর গভর্নিং কাউন্সিল। তার আগে সেপ্টেম্বরেই করতে চায় প্লেয়ার্স ড্রাফট।
আগের বারের আলোচনা সমালোচনা কারণে ‘সতর্ক’ বোর্ড আগামি আসরের শুরু থেকেই ডিআরএস রাখবে। বোর্ড পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সাংবাদিকদের ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘গতবার ডিআরএস আনতে পারিনি গ্রুপ ম্যাচে। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচে ছিল। এবার ডিআরএস কিন্তু কোনো প্রোডাকশন কোম্পানি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এদের কাছে নেই। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। চার বছরের জন্য তাদেরকে পাচ্ছি।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের নির্ধারিত সূচি ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। কিস্তুু আগামি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন। ডিসেম্বর মাস পুরোটাই থাকবে নির্বাচনী উত্তাপ। এমন সময়ে বিপিএল আয়োজন হবে কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনো শঙ্কা দেখছে না। নির্বাচনের বছরে বিসিবি বিপিএলের কাজ আগেই গুছিয়ে রাখতে চায়। আগামি সেপ্টেম্বরেই বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষ করতে চাইছে গভর্নিং কাউন্সিল।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে ১০ তারিখ থেকেই বিপিএল শুরুর পরিকল্পনা ক্রিকেট বোর্ডের। বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দাল মল্লিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিপিএল নিয়ে তাদের এমন ভাবনার কথা।
১০ জানুয়ারি বিপিএল শুরু হতে পারে জানিয়ে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘বিপিএলের সম্ভাব্য সূচি কি হতে পারে তা নিয়ে আমাদের বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে জাতীয় নির্বাচনের পরপরই যেন আমরা বিপিএলটা শুরু করতে পারি। পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের তারিখটা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। সেক্ষেত্রে ১০ তারিখ বা সুবিধাজনক তারিখ দেব। এটা আমরা বিপিএলের আগামী মৌসুমের শুরুর তারিখটা আমরা ঠিক করেছি।’
সেপ্টেম্বরেই প্লেয়ার্স ড্রাফট করা হবে জানিয়ে এই বোর্ড পরিচালক বলেন, ‘যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের খেলাটা শেষ করতে হবে। কারণ এর পরেই আমাদের শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে। আর প্লেয়ার ড্রাফটটা আমরা সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ বা শেষ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দিতে চাই। যাতে প্রত্যেকটা দল নিজেদের গুছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post