নিজস্ব প্রতিবেদক:: গতির রাজা বলা হয় পেসার নাহিদ রানাকে। তার পেস আগুনে পুড়ে ছারখার সিলেট স্ট্রাইকার্স। নাহিদ রানার রংপুর রাইডার্সের কাছে ৩৪ রানের হারে বিপিএল যাত্রা শুরু হলো স্ট্রাইকার্সদের। গুরুত্বপূর্ণ উইকেটগুলো তুলে নিয়ে রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়ের নায়ক রানাই।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা রংপুর রাইডার্স সোহান-ইফতিখারদের ব্যাটে চড়ে ১৫৫ রান তুলেছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নামা সিলেট রানার দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র মাত্র ১২১ রান তুলতে পেরেছে।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা রংপুর অধিনায়ক সোহান আর পাকিস্তানী ক্রিকেটার ইফতিখার আহমদের ব্যাটে চড়ে রাইডার্সরা ৬ উইকেটে ১৫৫ রান তুলে।৩.২ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতে তলে মাত্র ২২ রান। তানজীর সাকিবের শিকারে অ্যালেক্স হেলসের বিদায়ে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি্। সাত বলে ৬ রান করেন এই ওপেনার।
প্রথম উইকেট পতনের পর তিনে নামা সাইফ হাসানকে দলীয় ২৭ রানেই হারায় রংপুর। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ৪ রানে সাজঘরে ফিরেন এই ব্যাটম্যান। একই ওভারে আরেক ওপেনার স্টিভেন টেইলরকে হারিয়ে বিপদে পড়ে রাইডার্স। দলীয় ২৮ রানেই হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। তিন চারে ১৫ বলে ১২ রান করেন এই ওপেনার।
দ্রুত তিন উইকেট হারানো রংপুর চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটের দুই জুটিতে পায় চ্যালেঞ্জিং পূঁজি। দুই পাকিস্তানী ক্রিকেটার ইফতিখার ও খুশদিল শাহ চতুর্থ উইকেটে ৪১ রান তুলেন। ইনিংসের ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৬৯ রানে খুশদিল শাহর বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। দুই চার ও এক ছক্কায় ১৬ বলে ২১ রান করেন পাকিস্তানী এই ক্রিকেটার্
এরপর পঞ্চম উইকেটে ইফতিখার রংপুরের অধিনায়ক সোহানকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে সোহানের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। দুই ছক্কা ও চার চারে রংপুরের অধিনায়ক ২৪ বলে ৪১ রান করেন। তিনি ফিরে গেলেও অবিচল থাকেন ইফতিখার। চার চার ও এক ছক্কায় ৪২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। রংপুর থামে ছয় উইকেটে ১৫৫ রানে।
সিলেটের হয়ে তানজীম সাকিব ও আল আমিন হোসেন দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
১৫৬ রানের টার্গেটে খেলতে নামা সিলেট দেখে শুনে এগুচ্ছিলো। শুরুতে ওপেনার জর্জে মুনশীকে হারালেও রনি তালুক ও জাকির হাসানের দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করে তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৪ রানে ব্যক্তিগত দুই রানে জর্জে ফিরে যান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জাকির ও রনি তালুকদার ৩৩ রানের জুটি গড়েন। দ্বিতীয় উইকেটে জাকিরের বিদায়ে ভাঙে তাদর জুটি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৩৭ রানে বিদায়ের আগে জাকির হাসান তিন চারে ১২ বলে ১৮ রান করেন। একই ওভারের শেষ বলে দলীয় ৪৩ রানে পল স্টার্লিংয়ের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় স্ট্রাইকার্সরা। আইরিশ ক্রিকেটার ৫ বলে করেন মাত্র ৬ রান।
অধর্শতকের আগেই তিন উইকেট হারানো সিলেট চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে। জাকের আলী ও রনি তালুকদার তুলে নেন ৪৮ রান। তবে জাকেরের স্লো ইনিংসে বিপাকেও পড়তে হয় সিলেটকে। ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৯১ রানে চতুর্থ উইকেটে রনি তালুকাদের বিদায়ে বিপদ বাড়ে সিলেটের। চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ বলে ৪১ রান করেন তিনি। পরের বলেই অধিনায়ক আরিফুল হকের ডাকে সিলেটের পরাজয় যেনো ঘনিয়ে আসে। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে জাকেরও ফিরেন সাজঘরে। ৩৩ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে দলীয় ৯৯ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে নয় উইকেটে থামে স্ট্রাইকার্সরা।
রংপুরের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন নাহিদ রানা। একাই শিকার করেন চারটি উইকেট। দু’টি করে উইকেট শিকার করেছেন খুশদিল শাহ ও সাইফুদ্দিন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম./নিপ্র./ডেস্ক/০০