নিজস্ব প্রতিবেদক:: খেলোয়াড়ী জীবন শেষে কেউ চাকরীজীবি, কেউবা ব্যবসায়ী, কেউ আছেন আবার সংগঠক-কোচের ভূমিকায়। জীবন-জীবিকার তাগিদে সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লেও বাইশ গজের প্রতি টান আর ভালোবাসা তাদেরকে ছাড়েনি। এখনও সুযোগ পেলেই মেতে উঠেন ক্রিকেট উৎসবে। বয়স হলেও যে কারো পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েনি সেটাই যেন তারা দেখালেন।
সিলেটে হয়ে গেল সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। এক সময় যারা ব্যাটে-বলে বাইশ গজ শাসন করেন, দ্যুতি ছড়িয়েছেন দেশের ক্রিকেটে, সেই তারকারা একত্রিত হয়েছিলেন এক দিনের টুর্নামেন্টে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড দুইয়ে ঢাকা ও সিলেটের তারকা ক্রিকেটাররা মাঠ মাতালেন টি-১০ ক্রিকেট উৎসবে।
সিলেট ক্লাব, গুলশান ক্লাব ও বনানী ক্লাবের তিন দলের টুর্নামেন্টটিতে ফাইনাল খেললো সিলেট এবং গুলশান ক্লাব। যেখানে লাক্কাতুরার বুকে সবুজ গালিচায় আগে ব্যাট করে সিলেট নির্ধারিত ১০ ওভারে ১৩৯ রানের বড় পুজি পায়। দলটির হয়ে ব্যাট হতে ঝলক দেখান তপন মালাকার ও আল ওয়াদুদ সুইট। এর মধ্যে তপন ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। আর সুইট চার-ছক্কার নৈপুণ্যে মাত্র ১৯ বলে ৫১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
১৪০ রানের জবাবে খেলতে নামা ঢাকার গুলশান ক্লাব সমানতালে লড়াই করলেও, শেষ ওভারে গিয়ে পরাজয়ের মুখ দেখে। ইনিংসের শেষ ওভারে সাত রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি অতিথিরা। ব্যাট হাতে ফিফটির পর বল হাতেও কারিশমা দেখান সুইট। শেষ ওভারে বল হাত মাত্র ৪ রান খরচ করে। অথচ সেই ব্যাটাররাই আগের ওভারগুলোতে একের পর এক বাউন্ডারির মারে ৯ ওভারে তুলে ফেলেছিল ১৩৩ রান। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবিয়ে ফেলে তারা। সহজ সমীকরণ মেলাতে না পারায়, চ্যাম্পিয়ন তাই সিলেট ক্লাব।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে সিলেট ক্লাব প্রতিশোধও নিলো। কেননা মাস দুয়েক আগেই ঢাকায় গুলশান ক্লাবের আয়োজনে টি-১০ টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিলো সিলেট। এবার ঘরের মাঠে দাপট দেখালো দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশের সাবেকরা।
তবে ফলাফল যাই হোক, দিন শেষে আনন্দ উৎসবে মেতেছিলেন সাবেক তারকারা। শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেদের মতো করে কাটান একটি দারুণ দিন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০
Discussion about this post