স্পোর্টস ডেস্কঃ তার্কিশ ক্লাব আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোজা ম্যাচ শেষে প্রধান রেফারিকে ঘুষি মারার ঘটনায় সরাসরি জড়িত। গত ১১ ডিসেম্বর আঙ্কারায় মুখোমুখি হয়েছিল আঙ্কারাগুজু ও রিজেসপোর। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আঙ্কারাগুজু ক্লাবের প্রধান ফারুক রেফারি হালিল উমুত মেলেরের মুখে ঘুষি মারেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান এই রেফারি। ঘুষি খেয়ে পড়ে যাওয়ার পরও আবার আঘাত করা হয় তাঁকে।
আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি ফারুককে এরপর গ্রেফতার করে তুর্কির পুলিশ। তার সঙ্গে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার অভিযুক্তদের বড় শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। ফারুককে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে টার্কিশ ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)। সভাপতিকে নিষিদ্ধ করা ছাড়াও ক্লাব আঙ্কারাগুজুকেও শাস্তি দিয়েছে সংস্থাটি। নিজেদের সমর্থক ও ক্লাব অফিসিয়ালদের নিয়ে ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ’ তৈরি করার দায়ে টার্কিশ ফুটবলের সুপার লিগের ক্লাবটিকে ৬৯ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে ঘুষি মারা সেই ক্লাব সভাপতি ফারুককে কখনও ক্ষমা করবেন না বলে জানিয়েছেন রেফারি মেলের। তিনি বলেন, ‘আমি কখনই তাকে ক্ষমা করবো না, ঘটনাটি ভোলার নয়। ঐ সময় আমি মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনের মধ্যে যে ধরনের অনুভূতি হয়েছিল তা আমি জীবনে কোনদিন ভুলবো না। আর এ কারনেই আমি তাকে কখনোই ক্ষমা করবো না। আমি মনে করি এই ঘটনাটি সকলের কাছেই একটি শিক্ষনীয় বিষয় হয়ে থাকবে। রেফারিকে উত্তেজিত করা কোনভাবেই ঠিক নয়। সবারই যার যার নিজস্ব দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি এখানে শিক্ষার অভাব রয়েছে। রেফারিদেরর যথেষ্ট ট্রেনিংয়ের সুযোগ সুবিধা নেই। রেফারিরাও মানুষ, তাদেরও পরিবার আছে। সবসময় চাপে মধ্যে থাকলে কারো জন্যই ভালভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post