নিজস্ব প্রতিবেদক:: ছোট তামিম হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন, বড় তামিমও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। তাতেই তানজীদ তামিমের ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে তামিম-মুশফিকদের বরিশাল সহজেই তুলে নিয়েছে জয়।
আগে ব্যাট করা তানজীদ তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ঢাকা ক্যাপিটাল ১৩৯ রান তুলেছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নামা ফরচুন বরিশাল তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪ ওভার ও আট উইকেট হাতে রেখে বড় জয় তুলে নিয়েছে।
১৪০ রানের টার্গেটে খেলতে নামা ফরচুন বরিশালের ব্যাটসম্যানদের খুব একটা চাপে ফেলতে পারেননি ঢাকার বোলাররা। আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীর শিকারে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৮ রানে ওপেনার শান্ত ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ৩ বলে ২ রান করেন এই ওপেনার। এরপরই জুটি গড়ে ফেলেন তামিম ও ডেভিড মালান। দু’জনের ১১৭ জুটিতে দ্বিতীয় উইকেটে বরিশাল জয় অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে। ৮০ বলে ১১৭ রান তুলেন দু’জনে।
দুর্দান্ত ব্যাট করে দলের জয় নিশ্চিত করে ইনিংস ১৫তম ওভারের শেষ বলে ওপেনার তামিম ফিরেন প্যাভেলিয়নে। তার আগে ৬১ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন। ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ছয় চার ও এক ছক্কায়। তার বিদায়ের পর জয়ের বাকী কাজটা সেরে নেন মালান ও জাহানদাদ খান। তিন চার ও এক ছক্কায় ৪১ বলে ৪৯ রানে মালান ও দুই ছক্কায় চার বলে ১৩ রানে জাহানদাদ খান অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার হয়ে রাহী ও থিসারা পেরেরা একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ঢাকা ফরচুন বরিশালের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৯.৩ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায়। দুই ওপেনার তানজীদ তামিম ও লিটন দাস উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৩১ রান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরেন লিটন। তিনে নামা মুনিম শাহরিয়ার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। চার বল খেলে শুন্য রানে ইনিংসে ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
পরপর দুই উইকেট হারানো ঢাকা অর্ধশতকের আগেই হারায় তৃতীয় উইকেট। দলীয় ৪৮ রানে প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন জিন কোটজে। ৯ বলে করেন মাত্র ৮ রান। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার তামিম।
ইনিংসের ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১২০ রানে সপ্তম উইকেটে তামিম ফেরেন সাজঘরে। এর আগে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৪৪ বলে ৬২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে ছিলো দুই চারের সঙ্গে চারটি ছক্কার মার। শেষ দিকে ফাহিমুল্লার ১৬ বলে ২২ রানে ঢাকার ইনিংস শেষ হয় ১৩৯ রানে।
ফরচুন বরিশালের হয়ে তানভীর ইসলাম তিনটি ও ফাহিম আশরাফ দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০