নিজস্ব প্রতিবেদক:: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। এবার নাজমুল হোসেন শান্তর দল জয়ের হালি পূর্ণ করেছে। সিরিজের চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে সাকিব-মুস্তাফিজে স্বাগতিকরা সফরকারীদের হারিয়েছে ৫ রানের ব্যবধানে।
পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল এগিয়ে গেছে ৫-০ ব্যবধানে। সিরিজের চতুর্থ টি-২০ তে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ দল ১৪৩রানে অলআউট হয়। জবাবে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে ১৩৮ রানে থামে সাকিব-মুস্তাফিজদের বোলিং তোপে।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ তানজীদ তামিম ও সৌম্য সরকারের উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে নেয় শতরান। দলীয় ১০১ রানের মাথায় ইনিংসের ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হাফ সেঞ্চুরিয়ান তামিমের বিদায়ে ভাঙে জুটি।সাত চার ও এক ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই তরুন।
ওপেনার তামিম ফেরার পরপরই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। একই ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফিরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করে লুক জুঙ্গের এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন তিনি। দলীয় ১০৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের চাকা স্লো হয়ে যায়। তাওহীদ হৃদয়ের ১২ রান ছাড়া এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি অন্য কেউ। ৬ রান করে আসে আসে তানজিম সাকিব ও জাকের আলী অনীকের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশ ইনিংসের এক বল আগে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
জিম্বাবুয়ের হয়ে লুক জুঙ্গে ৩টি ও রিচার্ড নাগাবারা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
১৪৪ রানের টার্গেটে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ের শুরুটাও ভাল হয়নি। দলীয় ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ইনিংসের চতুর্থ বলেই শুন্য রানে ফেরেন ওপেনার বেনেট। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।
সাকিব-মুস্তাফিজদের বোলিং তোপে ধীরস্থিরে রান তুলার চেষ্টা করে সফরকারীরা। দুই ছক্কা ও এক চারে ২৭ বলে ৩১ রান করে জনাথন ক্যাম্পবেল দলকে জেতানোর চেষ্টা করেন। ১৯ রান করেন রায়ান বার্ল। ১৭ রান করেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ১৯ রানে অপরাজিত থাকলেও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের দুই বল আগে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে হারের হালি পূর্ণ করে সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ৪টি, মুস্তাফিজ ৩টি ও তাসকিন ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post