নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের পর যে শঙ্কা জেগে ছিলো বল হাতে তানজীম সাকিব সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। নেপালকে মাত্র ৮৫ রানে গুড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন ২১ রানে। নেপালকে হারিয়ে সহজ জয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেওয়া ১০৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা নেপাল সাকিবের বোলিং তোপে পড়ে দাঁড়াতেই পারেনি। বাংলাদেশের তরুণ পেসার মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভেঙে দেন নেপালিদের ব্যাটিং লাইনআপ। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন এই তরুণ পেসার। তাতেই নেপাল ১৯.২ ওভারে মাত্র ৮৫ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায়।
নেপালের হয়ে মাত্র তিনজন ব্যাটার এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পেরেছেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন কুশল মোল্লা। ৪০ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ৩১ বলে ২৫ রান করেছেন দীপেন্দ্র সিং। ১৭ রান এসেছে আসিফ শেখের ব্যাট থেকে। চারের বেশি রান করতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার। পাঁচজনই থেকেছেন শুন্যের ঘরে।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ৪টি, মুস্তাফিজ ৩টি ও সাকিব ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১০৬রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। জয়ের জন্য ১০৭ রান প্রয়োজন নেপালের।
পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে এযেনো ঈদ ট্র্যাজেডি টাইগার ক্রিকেটে। সাউথ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে ছাড়া নেপালে এবার বাংলাদেশের বিপক্ষেও ভালো বোলিং করলো। অল্পতেই আটকে দিলো টাইগারদের।
ইনিংসের প্রথম বলে শুন্য রানে তানজীম তামিমের বিদায়ের পর তিনে নামা শান্ত দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় সাত রানেই ফিরেছেন সাজঘরে। ৫ বলে ৪ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তৃতীয় উইকেটে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন সাকিব ও লিটন। তবে তারা বেশি দূর যেতে পারেননি। দলীয় ২১ রানে, ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ১২ বলে ১০ রানে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস।
এরপরই উইকেটে আসা তাওহীদ হৃদয়ও ফিরেন দ্রুত। দলীয় ৩০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় টাইগাররা। ইনিংসের ষষ্ট ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন রিয়াদ। ২২ রানের জুটি ভাঙে রিয়াদের বিদায়ে। ইনিংসের নবম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫২ রানের মাথায় রানআউট হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। দুই চারে ১৩ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
ইনিংসের ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৬১ রানের মাথায় প্রতিরোধ গড়া সাকিব ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ২২ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন দুই চারে। তার বিদায়ের পর তানজীম সাকিবও ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ইনিংসের ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৬৯ রানের মাথায় সপ্তম উইকেটে বিদায় নেন তিনি। ৫ বলে ৩ রান করেন এই বোলার।
এরপরে রিশাদ-তাসকিনদের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ পার করে শতরান। এক ছক্কা ও এক চারে ৭ বলে ১৩ রানের ঝড়ো ইনিংন খেলেন লেগস্পিনার। দুই চারে ১৫ বলে ১২ রান করেন তাসকিন। তাতেই বাংলাদেশ ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রান তুলতে সমর্থ হয়।
নেপালের হয়ে সন্দীপ লামিচান, রোহিত পাওডেল, সম্পাল কামিলরা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post