স্পোর্টস ডেস্ক:: বয়সের কোটা ৩৮ পেরিয়েছে। তবে গোল মেশিন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে এখনো সেই তরুণ বয়সের মতোই। গোল করেই যাচ্ছেন। সি আর সেভেন মাঠে নামা মানেই প্রতিপক্ষকে ছারখার করে দেওয়া।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে সবশেষ আল নাসরে যাওয়া এই পর্তুগিজ ফুটবল রাজা রীতিমতো উড়ছেন। সৌদীর ফুটবলাকাশে এখন বড় তারকা তিনি। সমর্থকদেরও প্রত্যাশা পূরণ করছে।
২০২৩ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো গোলের হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। কিংস কাপের কোয়ার্টারফাইনালে আল শাবাবের বিপক্ষেও গত রাতে গোল করেছেন পর্তুগিজ রাজা। তাতেই বিদায়ী বছরে তার গোলের সংখ্যা ৫০। আল নাসরের সেমিফাইনালে উঠার রাতে ক্লাবের জার্সিতে তার গোল সংখ্যাও হয়ে গেছে ৪০।
৯০০ গোলের মাইল ফলক স্পর্শ করতে এই ফুটবল রাজার প্রয়োজন আর মাত্র ৩১টি গোল। আট মৌসুমে ৫০ গোলের অনন্য কীর্তিও গড়েছেন তিনি। বিদায়ী বছরে তার চেয়ে বেশি গোল আর কোনো ফুটবলারের নেই।
আল শাবাবকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টারফাইনাল শেষ করেছে দলটি।
শেষ আটের ম্যাচে শাবাব কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোনালদোরা আধিপত্য ধরে রেখেই খেলেছেন। প্রথমার্ধের তিন গোলের সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে ম্যাচ জিতেছেন ৫-২ ব্যবধানে।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ফোফানার গোলে ১-০ এগিয়ে যায় নাসর। তবে শাবাবও দ্রুতই ম্যাচে ফিরে। ২৪তম মিনিটে কার্লোসের গোলে ম্যাচের স্কোল লাইন হয়ে য়ায় ১-১। সমতায় থাকা ম্যাচে মিনিট চারেক পরেই সাদিও মানে এগিয়ে দেন দলকে। ২৮তম মিনিটে নাসর এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।
আব্দুর রাহমানের গোলে প্রথমার্ধেই লিড বাড়ায় নাসর। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ৩-১ ব্যবধান করেন তিনি। প্রথমার্ধে আর গোল শোধ দিতে পারেনি শাবাব। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় নাসর।
বিরতির পর শাবাব নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাদের প্রতিরোধ আবারো ভেঙে যায়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ৭৪তম মিনিটে দলের এক হালি গোল পূর্ণ করেন। ৯০তম মিনিটে হাটান বাহিরির গোলে শাবাব ব্যবধান ৪-২ করেন। কিন্তুু শেষ রক্ষা হয়নি। যোগ করা সময়ের ৬ষ্ট মিনিটে মোহাম্মদ মারান শেষ পেরেক ঠুঁকে দেন। ৫-২ গোলে নিশ্চিত করেন নাসরের জয়।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০১
Discussion about this post