নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরচুন বরিশালের বড় পুঁজি অনায়াসে টপকাল খুলনা টাইগার্স। সোমবার বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে তারা। মিরপুরে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইসের ফিফটিতে তারকাখচিত বরিশালকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল খুলনা।
রান তাড়া করতে নেমে খুলনা টাইগার্সের হয়ে শুরুতে ঝড় তোলেন এভিন লুইস। বরিশালের বোলারদের ওপর চড়া হয়ে প্রথম ছয় ওভারেই খুলনা সংগ্রহ করে ৮৭ রান। এর মধ্যে ২২ বলে ৫৩ রান করে মোহাম্মদ ইমরানের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লুইস। ৩৬ বলে ৪১ রান করে আউট হন আফিফ। তবে ৪৪ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক বিজয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মনমতো হয়নি বরিশালের। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১৪ রানের মাথায় ফিরেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। তবে এরপর সৌম্য ক্রিজে আসতেই পাল্টে যায় চিত্র। তামিমের সাথে ঝড়ো জুটি বাঁধেন। ২২ বলে ৪৬ রানের সেই জুটি ভাঙে ভুল বোঝাবুঝিতে সৌম্য রান আউট হয়ে ফিরলে। তবে এর আগে ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রানের ক্যামিও খেলে যান এই বাঁহাতি।
উইকেটে এসে শুরুতে খানিক দেখে শুনে খেললেও, ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন মুশফিক। বন্ধু তামিমের সাথে তার ৬০ রানের জুটিই দলের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। ৩৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে তামিম আউট হলে সেই জুটি ভাঙে। তবে তামিম বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৩ হাজার রানের মাইলফলক গড়েন। এরপর উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে এগোতে থাকেন মুশফিক।
মুশফিক-রিয়াদের ৫৪ রানের ঝড়ো জুটিতে বড় পুঁজি পায় বরিশাল। ইনিংসের একেবারে শেষ দিকে এসে ১৯ বলে ২টি করে চার ও ছয়ের মারে ২৭ রান করা রিয়াদ আউট হলেও, অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। মিস্টার ডিপেন্ডেবল ৩৯ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কার মারে ৬৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। তার সাথে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক।
খুলনার হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন ওশানে থমাস, নাসুম আহমেদ ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় খুলনা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন বিজয় ও লুইস। ওপেনিং জুটিতে ৫.৩ ওভারে আসে ৭৭ রান। ২২ বলে ৫৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন লুইস। ২৪০.৯০ স্ট্রাইক রেটে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কায়। মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে লুইসকে ফেরান মোহাম্মদ ইমরান।
দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় গড়েন ৭৫ রানের জুটি। দলীয় ১৫২ রানে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি হন আফিফ। এবারও জুটি ভাঙেন ইমরান। সাজঘরে ফেরার আগে আফিফ করেন ৩৬ বলে ৪১ রান। ম্যাচের বাকিটা পথ শাই হোপকে নিয়ে নির্বিঘ্নে পার করেন বিজয়। ১০ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন হোপ। আর ক্যাপ্টেন্স নক খেলা বিজয় অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৬৩ রানে। তার ইনিংসে চার ও ছয়ের মার সমান তিনটি করে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকা বিজয় দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post