স্পোর্টস ডেস্ক:: দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে থাকা কোনো ক্রিকেটারেরই বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা ছিলো না। পুরো দলটা প্রথমবারই খেলতে নেমে ছিলো মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। নাজমূল হোসেন শান্তর ঘরকে নিজেদের ঘর বানিয়ে ছেড়েছে প্রোটিয়ারা। স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
অথচ গত দশ বছর থেকে উপমহাদেশে কখনো জিততে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। ১৪ টেস্টের ১০টিই হেরেছে, ‘ড্র’ করতে পেরে ছিলো মাত্র চারটি ম্যাচে। সবশেষ ২০১৪ সালের জুলাইয়ে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ১৫৩ রানে হারিয়েছিল সাউথ আফ্রিকায়। উপমহাদেশে এর পর আর জয়ের দেখা মিলেনি দলটির।
এক দশকের অপেক্ষার পর বাংলাদেশকে হারাতে পেরে দারুণ খুশি প্রোটিয়া শিবির। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম এই জয়কে বলছেন, স্পেশার জয়। মেহেদী হাসান মিরাজের ৯৭ রানের ইনিংস ছাড়া এই টেস্টে টাইগারদের প্রাপ্তির নেই কিছুই। অথচ অনভিজ্ঞ প্রোটিয়ারা পেয়েছে দারুণ এক জয়। চট্টগ্রাম টেস্টে যা দেবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস।
এই জয়কে স্পেশাল অবহিত করে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বলেন, “আমার মতে, এটি স্পেশাল। তরুণ ও অনভিজ্ঞ দলের জন্য এখানে এসে ম্যাচ জেতা দারুণ অর্জন। এই জয় আমাদের বিশ্বাস জুগিয়েছে যে বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও আমরা লড়াই করতে পারব। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপারে। সামনে যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব, তা মোকাবিলা করতে রোমাঞ্চ অনুভব করছি আমরা।”
উপমহাদেশে জেতাটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বিশেষ মূহুর্ত মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, “আমার মনে হয় না, আমরা দক্ষিণ আফ্রিকানরা এই জয়টিকে কখনও সাধারণ মনে করব। আমার কথাই ধরুন, কয়েক বছর ধরে খেলছি কিন্তু (এর আগে) কখনও উপমহাদেশে জিতিনি। আমাদের জন্য এটি বিশেষ মুহূর্ত।”
ঢাকা টেস্টে সাত উইকেটের জয় চট্টগ্রাম টেস্টে আত্মবিশ্বাস জোগাবে জানিয়ে মার্করাম বলেন, “এই জয় থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো দল হিসেবে বিশ্বাসটা। সামনের ম্যাচেও ভালো পারফর্ম করে সত্যিকারের ভালো দল হয়ে উঠতে এটি আমাদের সাহায্য করবে। সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা উন্মুখ।”
দলের ব্যাটিং নিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, “ব্যাটিংয়ের দিক থেকে স্পিন মোকাবিলার ক্ষেত্রে, আমার মনে হয় না দলীয় পরিকল্পনা হতে পারে কোনো। ব্যাটসম্যানদেরকে স্বাধীনতা দিতে হবে, তারা যেন নিজেদের মতো করে এই চ্যালেঞ্জ জিততে পারে। এটাই মূলত আলোচনা ছিল। তারা যেন নিজেদের মেলে ধরে, শক্তির জায়গায় অটল থাকে। এরপর যা হয় হবে। কাইল ভেরেইনার দিকে দেখুন, সে দারুণভাবে সব সুইপ খেলেছে। ছেলেদের নিজেদের শক্তির জায়গা ধরে রাখতে দেখা আনন্দের।”
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০