নিজস্ব প্রতিবেদক:: জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৬তম আসরে দ্বিতীয় জয়ের জন্য লড়ছে সিলেট। রংপুরের বিপক্ষে রাজশাহীতে ১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে সিলেট বিভাগীয় দল। তৃতীয় দিন শেষে সিলেট দুই উইকেটে ৫১ রান তুলেছে। হাতে থাকা আট উইকেটে পুরো এক দিন নিয়ে করতে হবে আরো ১৩৯ রান।
রংপুরের প্রথম ইনিংসে করা ১৫৮ রানের জবাবে সিলেট নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রান তুলেছিলো। পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা রংপুর ২২০ রানেই গুটিয়ে যায়। সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯০ রান।
শেষ বিকেলে জয়ের জন্য ব্যাট করতে নামা সিলেট ২০ রানেই হারায় প্রথম উইকেট। সাজঘরে ফিরে যান ৯ রান করা ওপেনার তুষার। দলীয় ৫০ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় অমিতের দল। ৯ রানে ফিরেন তিনে নামা মাইশাকুর রহমান। এরপরই সিলেট নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামিয়ে দেয় পেসার রাজাকে। দিন শেষে রাজা ১ রানে ও পিনাক ঘোষ ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। জয়ের জন্য শেষ দিনে সিলেটকে করতে হবে ১৩৯ রান। হাতে আছে আট উইকেট।
রংপুরের হয়ে রবিউল ও হাসিম ১টি করে ্ইকেট লাভ করেন।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের ১৫৮ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা সিলেট বিভাগীয় দল প্রথম দিন শেষ করেচিলো কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৪ রান তুলে। তবে দ্বিতীয় দিন দলটি ৫৮.২ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলটির হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অমিত হাসান। ৫৭ রান করা এই ব্যাটার ১০৪ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ছয় চারে। দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও তৌফিক খান তুষার সংগ্রহ করেছেন ২৮ রান করে।
সিলেটের স্পিনার জাবেদ করেছেন ২৩ রান। ১৭ রান করেছেন অভিষিক্ত মুবিন আহমদ দিশান। এই তরুণ অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কাটা পড়েছেন রানআউটে। ১১ রান এসেছে মাইশাকুর রহমানের ব্যাট থেকে। এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার।
রংপুরের হয়ে রবিউল হক ও আবু হাসিম ৩টি করে উইকেট লাভ করেন।
সিলেটের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নামা রংপুর তিন পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি। উইকেটে তীতু হতে পারেননি আকবর আলীদের কোনো ব্যাটারই। রাহী, রাজা-খালেদ তিনজনে মিলে তিন উইকেট করে নয় উইকেট তুলে নেন তারা। বাকী একটি উইকেট নেন আরেক পেসার তোফায়েল। তাতেই রংপুর ৬২.৩ ওভারে ১৫৮ রানেই শেষ হয়ে যায়।
ব্যাট হাতে রংপুরের হয়ে কিছুটা লড়াই করেন অধিনায়ক আকবর আলী। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন তিনি। খেলেন ৩৯ বল। হাঁকান পাঁচটি বাউন্ডারি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন খালিদ হাসান। ১০৩ বলের ইনিংসে দু’টি চার হাঁকিয়েছেন তিনি।
সিলেটের বোলারদের তোপের মুখে রংপুরের ব্যাটারররা সুবিধা করতে পারেননি। ২১ রান করেছেন রিজওয়ান। ৭৯ বলের ইনিংসে তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৩ রান করা রবিউল খেলেছেন ৩৭ বলে, মেরেছেন দুই চার। ২৫ বলে এক চারে ১১ রান করেছেন আবু হাশিম। এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার।
সিলেটের হয়ে আবু জায়েদ রাহী ১৩.৩ ওভারে ৩৬ রানে ৩টি, খালেদ আহমদ ১৬ ওভারে ৪৫ রানে ৩টি, রেজাউ রহমান রাজা ১৬ ওভারে ৪৩ রানে ৩টি ও তোফায়েল ১১ ওভারে ১৬ রানে ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০