স্পোর্টস ডেস্কঃ প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ঢের এগিয়ে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে গোল করতে নেয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
শনিবার ব্যাঙ্গালোরের কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত থেকে দারুণ ক্রস দিয়েছিলেন রাকিব হোসেন। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা আগের দুই ম্যাচের নায়ক মোরসালিন যথেষ্ট সময় পেলেও শট নেন গোলরক্ষকের গা বরাবর। ফলে সহজেই তাকে ঠেকিয়ে দেন কুয়েতের গোলরক্ষক।
প্রথম দফায় মোরসালিনের শট প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের হাতে লাগে। ফিরতি বলও পেয়ে যান এই স্ট্রাইকার। কিন্তু প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বাধা পেরিয়ে দ্রুত শট নিতে হতো তাকে। সেটা ঠিকমতো নিতে না পারা তার শটটি গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়। গোল মিসের কয়েক মিনিট পরেই গোল হজমের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ দল। কর্নার থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিল কুয়েত ফুটবলার। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো একপাশে থাকায় বাংলাদেশ গোল খেয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেখানে একেবারে গোললাইন থেকে দারুণ চেষ্টায় বল ফেরত পাঠান এক বাংলাদেশি ডিফেন্ডার। ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল।
৭১তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে উঠেছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়। কিন্তু সে আক্রমণ পূর্ণতা পায়নি রাকিব-ফাহিম অফসাইডের ফাঁদে পড়ায়। ৭৪তম মিনিটে আল রশিদির সাইড ভলি ফেরান বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকো।
বাংলাদেশের একাদশ-
আনিসুর রহমান, তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, ইসা ফয়সাল, সোহেল রানা, মো. হৃদয়, সোহেল রানা (সিনিয়র), জামাল ভূঁইয়া, শেখ মোরছালিন ও রাকিব হোসেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post