স্পোর্টস ডেস্ক:: ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ডুবতে বসেছে পাকিস্তান। বাবর আজমের স্বার্থপরের মতো ব্যাটিং কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দলটির জন্য। নিউজিল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের ৬০ রানের হারের পর সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন বাবর আজম। সাবেকরা বলছেন তার ঘুমপাড়ানি ব্যাটিংয়ের কারণেই হেরেছে পাকিস্তান।
আগে ব্যাট করা নিউজিলান্ড ৩২১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাবার-রিজওয়ানদের। এমন বড় রানের ম্যাচে পাকিস্তান শুরু করে ধীরলয়ের ব্যাটিংয়ের। ৩০০ বলের মধ্যে ১৬২ বল ডট খেলে ফেলেন পাক ব্যাটাররা। যার বেশির ভাগ বাবর আজমের ব্যাট গিলে ফেলে।
শুধু বাবর আজমই নয়, পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটাররা ঘুমপাড়ানি ব্যাটিং করেছেন। তারা ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তোলার সীমাহিন চাপ দিয়েছে মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ওপর। ফলাফল তাই ৬০ রানের হারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায়ের শঙ্কা। পাকিস্তানের দুই টপ অর্ডার ব্যাটার শাকিল ও রিজওয়ান মিলে খেলেছেন ৩৩ বল। অথচ দুই জনে মিলে করেছেন মাত্র ৯ রান।
বাবর আজম ভিন্ন ভিন্ন জুটি গড়েছেন। ৬৪ রান করেছেন। তাতে লেগেছে ৯০ বল। যার মধ্যে আবার বেশির ভাগ বল ডট দিয়েছেন। ৫২ বলে কোনো রানই নিতে পারেননি তিনি। এমন স্বার্থপরের মতো ব্যাটিংয়েই হেরেছে তার দল। তাই ম্যাচ শেষে সমালোচনায় পড়েছেন তিনি। স্বদেশী কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরাম, ভারতের সাবেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফ হারের জন্য বাবরকে দায়ী করছেন।
ইউটিউব চ্যানেল স্পোর্টস সেন্ট্রালের ড্রেসিংরুম অনুষ্ঠানের ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে আমি বলেছিলাম বাবর আজম যেন রান রেট নিয়ে না ভাবে। সে যতটা সম্ভব সময় নিক এবং পাকিস্তানের ব্যাটিং তাকে ঘিরে আবর্তিত হোক। কিন্তু আমার তো মনে হয় সে কথাটা সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলেছে এবং সেটাই করেছে। তাই বলে আমি ওকে এতগুলো ডট দিতে বলিনি।’
বাবর আজম ও আগা সালমানের ইনিংস দুটির পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন কচ্ছপ ও খরগোশের দৌড় প্রতিযোগিতা নিয়ে ঈশপের রূপকথার গল্প টেনে এনে লিখেছেন, ‘সালমান আলী আগার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ফিফটির পথে বাবরের যাত্রা যেন কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পের সেরা চিত্রায়ণ।’
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী দলের সদস্য মোহাম্মদ কাইফ বাবরের ব্যাটিং এই যুগে চলে না মন্তব্য করে বলেন, ‘বাবর এখনো ৮০-এর দশকের ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছে। অনিয়মিত স্পিনারদের বিপক্ষে মাত্র দুটি বাউন্ডারি মেরেছে, মাঝের ওভারগুলোতেও অল্প রান এসেছে। এটা (এ ধরনের ব্যাটিং) আধুনিক ক্রিকেটে কোনো কাজে আসে না।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে আগামি রোববার দুবাইতে খেলতে হবে পাকিস্তানকে। সেই ম্যাচটি হারলে বিদায় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে বাবর আজমদের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০