নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে, জিততে হবে। এমন ম্যাচে লড়াই করেও পারল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফরচুন বরিশাল ১৮ রানে হারিয়েছে সিলেটকে। বরিশালের দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্ট্রাইকার্সরা থেমেছে ১৬৫ রানে। এতেই আসর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে গেছে সিলেট। অপরদিকে প্লে-অফের আরও কাছে চলে গেছে বরিশাল।
সাগরিকায় বরিশালের দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কোনো রান যোগ না হতেই ডাক মেরে ফিরেন ওপেনার হ্যারি টেক্টর ও টপ অর্ডারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। চলতি বিপিএলে একেবারেই ফ্লপ যাচ্ছে শান্ত’র।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দলীয় মাত্র ১৮ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার জাকির হাসানও (৫)। বিপর্যয়ের আরও বাকি। দলীয় ৪০ রানের আগেই একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (১০), অ্যাঞ্জেলো পেরেরা (১৭) ও রায়ান বার্ল (৩)। মাত্র ৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়ে সিলেট।
তবে সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে আরিফুল হক ও বেনি হাওয়েলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুজনের ১০৮ রানের জুটিতে ভর করে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে সিলেট। তবে দুজনই বিদায় নিলে, শেষ পর্যন্ত আর সম্ভব হয়নি সেটি। ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন বেনি হাওয়েল, ৩১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন আরিফুল হক। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ইনিংস। হেরে যাওয়ায় নিশ্চিত হয় বিদায়ও।
বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ১ মেইডেনসহ মাত্র ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন কাইল মায়ার্স। সাইফউদ্দিন, ম্যাকয়, মহারাজ ও মিরাজ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে সাগরিকায় আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও কাইল মায়ার্স।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতো ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আহমেদ শেহজাদের। তবে তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ১৭ রান করা শেহজাদ ফিরলে ভেঙে যায় ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।
পাওয়ার প্লে’র এক বল বাকি থাকতে দলীয় ৪২ রানের মাথায় ফিরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৮ বলে ১৯ রান করেন তিনি। সৌম্য সরকার এদিন কোনো ঝলক দেখাতে পারেননি ব্যাট হাতে (৮)। তবে চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে ৮৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন।
৩১ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ের মারে ৪৮ রানে ফিফটি মিসের আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেন মায়ার্স। তবে ফিফটি পূরণ করেন অভিজ্ঞ মুশফিক। মিস্টার ডিপেন্ডেবল ৩২ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছয়ের মারে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রান আউটে কাঁটা পড়েন। এদিন দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিপিএলে একশ ছক্কার মাইলফলকও গড়েন তিনি। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজের ১৫ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১২ রানে ভর করে বিশাল পুঁজি পায় বরিশাল।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে একাই ৩ উইকেট পেলেও, ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেছেন তানজিম হাসান সাকিব। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন শফিকুল ইসলাম ও হ্যারি টেক্টর।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post