নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রোমাঞ্চকর জয়ে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড। ঢাকা টেস্টে শনিবার ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। গ্লেন ফিলিপস-মিচেল স্যান্টনারের দারুণ এক জুটিতে রোমাঞ্চকর এই জয় পায় কিউইরা। মিরপুরের দুর্ভেদ্য উইকেটে প্রথম ইনিংসে ৮৭ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রান করেছেন ফিলিপস। তাতে ১-১ ব্যবধানে শেষ হলো দুই ম্যাচের সিরিজ।
বাংলাদেশকে ১৩৬ রানে অলআউট করে রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয় নি নিউজিল্যান্ডের। বাংলাদেশি বোলারদের তোপে ডেভন কনওয়ের পর দলীয় ২৪ রানে কেন উইলিয়ামসনের উইকেটও হারিয়ে ফেলে কিউইরা। দ্বিতীয় উইকেটে টম লাথামের সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়ে তাইজুল ইসলামের শিকার হন উইলিয়ামসন। চলতি সিরিজে চার ইনিংসে তৃতীয়বার কেন উইলিয়ামসনকে আউট করলেন তাইজুল। তার টার্ন ও বাউন্সে পরাস্ত হয়ে স্টাম্পড হয়ে ফেরেন কিউইদের সেরা ব্যাটার। ২৪ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
হেনরি নিকোলস ও টম ল্যাথাম দুজনকেই আউট করেন মিরাজ। নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন টম ব্লান্ডেল। তাইজুল ইসলামের বলে নুরুল হাসান সোহানকে ক্যাচ দিয়েছেন কিউই তারকা। ৬ বলে মাত্র ২ রান করেন তিনি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ড্যারিল মিচেল। ১৯ রানে তাকেও সাজঘরে পাঠান মিরাজ। এরপর গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে জয়ের দিকে এগুতে থাকে নিউজিল্যান্ড। সফলও হন তারা। অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন দুই কিউই। ফিলিপসের ৪৮ বলের ইনিংসে আছে ৪টি চার ও একটি ছয়ের মার। স্যান্টনার অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।
এর আগে চতুর্থ দিন ব্যাটিং বিপর্যয়ে প্রথম সেশনও শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪৪ রানে। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ফিফটি হাঁকান জাকির হাসান। ৮৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এর আগে মুমিনুল-জাকিরের জুটিতে দিনের শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু দলীয় ৭১ রানে মুমিনুলের বিদায়ের পর থেকেই শুরু ছন্দপতন।
অ্যাজাজ পাটেলের বলে এলবির শিকার হয়ে মুমিনুল আউট হয়েছেন ১০ রান করে। মুশফিকুর মাত্র ১২ বল খেলে ৯ রান করে স্যান্টনারের শিকার হন। কিউই এই স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হন শাহাদাত হোসেনও। ১১ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন এই ডানহাতি। মেহেদি হাসান মিরাজও ভরসা দেখাতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করে অ্যাজাজের বলে ফিরলেন। নুরুল হাসান সোহান তো ব্যর্থতার জাল থেকে বেরই হতে পারছেন না। এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এক প্রান্তে জাকির লড়াই করলেও যোগ্য সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। তার বিদায়ে দলীয় ১২৮ রানে পড়ে বাংলাদেশের নবম উইকেট। তার পর পুঁজিটা আরও বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। শেষ দিকে কিছু বাউন্ডারির কারণে লিড ১৩৭ রানে দাঁড়িয়েছে। ২১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল। বাংলাদেশের ইনিংসের ভরাডুবি হয়েছে মূলত কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেলের কারণে। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫১ রানে তিনটি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। একটি শিকার টিম সাউদির।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post