নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে ঢাকায় শেষ পর্বের প্রথম দিনেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলো ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের। রংপুরের এক জয়েই বিপিএল থেকে বিদায় নিতে হলো তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি। সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লার সঙ্গী হয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেললো রংপুর রাইডার্স।
যদিও এখনো ঢাকার এক, খুলনার দুই ও চট্টগ্রামের তিন ম্যাচ বাকী আছে। তবে ম্যাচগুলো শুধুই নিয়ম রক্ষার। টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেটের পয়েন্ট ১৬। দশ ম্যাচের আটটিতে জিতেছে মাশরাফীরা। দুইয়ে থাকা বরিশালের পয়েন্ট ১৪। দশ ম্যাচের সাতটি জিতেছে সাকিবের দল। তিনে থাকা কুমিল্লা নয় ম্যাচের ছয়টি জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ১২। চার নম্বরে থাকা রংপুরও নয় ম্যাচের ছয়টি জিতেছে। তাদেরও পয়েন্ট ১২।
ছিটকে পড়া ঢাকা ১১ ম্যাচের তিনটি জিতেছে। তাদের পয়েন্ট মাত্র ৬। দশ ম্যাচ খেলে দুই ম্যাচ জেতা খুলনার ঝুলিতে মাত্র ৪ পয়েন্ট। তারা আছে ছয়ে। সব শেষ সাতে থাকা চট্টগ্রামের পয়েন্টও চার। সাত ম্যাচের দু’টিতেই জিততে পেরেছে বন্দরনগরীর দলটি।
শুক্রবার ঢাকার বিপক্ষে রংপুরের দুই উইকেটে জয়ে প্লে-অফের সমীকরণ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আগে ব্যাট করা নাসির হোসের ঢাকা ১৩০ রান তুলেছিলো। জবাবে খেলতে নামা রংপুর অধিনায়ক সোহানের ফিফটিতে ৮ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় প্লে-অফে। সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লার সঙ্গী হলো রংপুর।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ঢাকা আরিফুল ও মামুনের ছোট ছোট ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৩০ রান তুলতে সমর্থ হয়। রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ পায়নি নাসিরের দল। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে। দুই চার ও এক ছয়ে ২৬ বলে সাজান নিজের ইনিংসটি। বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা আব্দুল্লাহ আল মামুন এক চার ও এক ছয়ে ২৭ বলে ২৩ রান করেন। ১৮ রান করেন অ্যালেক্স। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আমির হামজা।
রংপুরের হয়ে ওমরজাই ২টি, মেহদী হাসান, হারিস রউফ, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নেওয়াজরা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
১৩১ রানের টার্গেটে খেলতে নামা রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক সোহানের ঝড়ো ফিফটিতে ৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে। জয়ের লক্ষ্য খেলতে নামা দলটি শুন্য রানেই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে হারিয়ে শুরু করে। তবে আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ৩৪ রান করেন। ৩৯ বলের ইনিংসে তিনটি চার হাঁকিয়েছেন তিনি।
অধিনায়ক সোহান ৬৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে জয়ের পথ সহজ করে দেন। ৩৩ বলের ঝড়ো ইনিংসে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার। ৭ রান করে ওমরজাই ও হারিস রউফরা অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার হয়ে নাসির ৪টি ও শরিফুল ৩টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post