স্পোর্টস ডেস্ক:: আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা প্রতিদিনের ডি/এ ৫০ ডলারের বেশি নেন না। বিমানে যাতায়াত করেন ইকোনমিক্স ক্লাসে। মাসের বেতন পেতেও তাদেরকে নির্ধারিক মানদণ্ড অর্জন করতে হয়। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নির্ধারিত ১০০ মার্ক পেলেই প্রতি মাসের বেতন পান আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা।
সুযোগ-সুবিধাও খুব একটা মেলে না। ঘরের মাঠে তো খেলার সুযোগ নেই। কখনো দুবাই, কখনো ভারত আবার কখনো শ্রীলঙ্কায় নিজেদের হোম ম্যাচগুলো খেলতে হয় আফগানিস্তানকে। অনুশীলনের জন্যও দৌড়াতে হয় এক দেশ থেকে আরেক দেশে। তবুও আফগানিস্তান অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে ক্রিকেট বিশ্বে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে ফেবারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংলিশদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় করে দেওয়ার ম্যাচে আফগান ক্রিকেটার ইব্রাহিম জর্দান ‘রেকর্ড’ গড়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহের মালিক এখন তিনি। জোফ্রা আর্চারদের মতো বোলারদের তুলোধুনো করে খেলেছেন ১৭৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস।
অথচ আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। নিখাদ ভালোবাসা আর দেশপ্রেমের জন্য বাইশ গজে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন তারা। যুধ্ববিধ্বস্ত দেশটির মানুষকে নিয়মিতই ভাসান ক্রিকেট উৎসবের আনন্দে। ময়দানে লড়াই করেন চোখে চোখ রেখে। বাইশ গজে এক বিন্দুও ছাড় দিতে চান না প্রতিপক্ষকে। বড় বড় দলগুলোর কাছ থেকে আদায় করছেন সমীহও। নিজেরাও হয়ে উঠছেন বিশ্ব ক্রিকেটের বড় তারকা।
অথচ আফগান ক্রিকেটারদের থেকে হাজারগুণ সুবিধা পেয়েও তাদের ধারেকাছেও পারফরম্যান্স করতে পারছেন না অনেক দেশের ক্রিকেটাররা। বৈশ্বিক আসরগুলোতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। সুযোগ পেয়েও হচ্ছে না তাদের উন্নতি। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মতো দলগুলোকে বেশ ভাল ধাক্কা দিচ্ছে সুযোগ-সুবিধায় অনেক অনেক পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০