স্পোর্টস ডেস্কঃ ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুইশোর আগে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন মাঝারি পুঁজি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়া টাইগাররা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান করেছে। রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। এর আগে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
চেন্নাইয়ে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ৯৬ রানের জুটি। তবে সেটি বেশি দূর এগোয়নি। এরপর শেষের ব্যাটারদের অবদানে বাংলাদেশ গেছে ২৫০-এর কাছাকাছি। শেষ ৩ উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছে ৬৫ রান, তাতে রিয়াদের অবদান ৩৮ রান, যিনি অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৪১ রানে।
২ ছক্কা ও ২ চারে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন রিয়াদ। এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ট্রেন্ট বোল্টের লেংথ ডেলিভারিতে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মেরেছিলেন লিটন দাস। ডিপ ফাইন লেগে ম্যাট হ্যানরি জায়গা মতো থাকায় ক্যাচ লুফে নিতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি। ফলে নিজের জন্মদিনে গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে লিটন ফিরেন সাজঘরে। এরপর তানজিদ হাসান তামিমও ইনিংস বড় করতে পারেন নি। তরুণ ওপেনারকে ইনিংস বড় করতে দেননি লকি ফার্গুসন।
ব্যক্তিগত ১৬ রান করা তানজিদ হাসান ফিরেন ক্যাচ আউট হয়ে। এদিকে তিনে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। বাংলাদেশকে বেশ ভালোভাবেই টানছিলেন তিনি। তবে তার ব্যাটের রান থামিয়েছেন ফার্গুসন। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ স্কয়ারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে হ্যানরির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩০ রান করা মিরাজ। দ্রুতই আউট হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গ্লেন ফিলিপসের শর্ট ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৭ রান করে।
৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর সাকিবকে নিয়ে বাংলাদেশের বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন মুশফিক। এই জুটির পথে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিক। এরপর ফার্গুসনের উপর চড়াও হতে গিয়ে আউট হয়েছেন সাকিব। ডানহাতি এই পেসারের আগের বলে ছক্কা মারা বাংলাদেশ অধিনায়ক পরের বলে বাউন্সার পুল করতে চেয়েছিলেন। তবে টপ এজ হওয়ায় ফিরে যেতে হয় ৪০ রানের ইনিংস খেলে।
সাকিব ফিরলেও স্বাচ্ছন্দেই খেলছিলেন মুশফিক। তবে হ্যানরির শর্ট লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারি নিচু হওয়ায় খানিকটা বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ফলে দারুণ ব্যাটিং করে ৬৬ রানে ফিরে যেতে হয়েছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে। ৬ চার ও ২ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান তিনি। মুশফিক ফেরার পর আউট হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়ও। বোল্টের নাকল বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট এক্সট্রা কভারে থাকা স্যান্টনারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ রান করা এই ব্যাটার।
হৃদয়কে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বোল্ট। ষষ্ঠ নিউজিল্যান্ড বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট পেলেন বাঁহাতি এই পেসার। এদিকে সবচেয়ে কম ম্যাচে ২০০ উইকেট নেওয়া বোলারের তালিকায় শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। মাত্র ১০২ ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এছাড়া পাকিস্তানের সাকলাইন মুশতাক ১০৪ ম্যাচে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। বোল্টের লেগেছে ১০৭ ম্যাচ।
এরপর রিয়াদকে সঙ্গ দিয়ে তাসকিন আহমেদ আউট হয়ে ফিরেছেন ১৭ রান করে। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে শেষ দিকে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের পুঁজি ২৪৫ রানে নিয়ে গেছেন রিয়াদ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ফার্গুনসন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং ম্যাট হেনরি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post