স্পোর্টস ডেস্কঃ ম্যাচের শুরুতেই গোল করতে পারতেন বাংলাদেশের শেখ মোরসালিন আহমেদ। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেন নি এই ফরোয়ার্ড। শক্তিশালী কুয়েতের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে তাই এগিয়ে যাওয়া হলো না লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। ব্যাঙ্গালোরে বাংলাদেশ-কুয়েত ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোল শূন্য সমতায়।
ব্যাঙ্গালোরের শ্রী কান্তিরভা স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে গোল পাওয়া তরুণ ফরোয়ার্ড মোরসালিন সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। মাঠের ডানপ্রান্ত ধরে সতীর্থের কাছ থেকে পাওয়া বল কুয়েত গোলরক্ষকের হাতে মেরে দেন মোরসালিন। ফিরতি বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেন নি তিনি।
গোল মিসের কয়েক মিনিট পরেই গোল হজমের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ দল। কর্নার থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিল কুয়েত ফুটবলার। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো একপাশে থাকায় বাংলাদেশ গোল খেয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেখানে একেবারে গোললাইন থেকে দারুণ চেষ্টায় বল ফেরত পাঠান এক বাংলাদেশি ডিফেন্ডার। ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল।
বাংলাদেশ-কুয়েত দুই দল প্রথম মুখোমুখি ১৯৭৩ সালের মারদেকা কাপে। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল বেঙ্গল টাইগাররা। পরের মুখোমুখি ১৯৮৬ সালের এশিয়ান গেমসে। সেখানে ৪-০ গোলের হারের বিষাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। ৩৭ বছর পর আজ আবার ব্যাঙ্গালোরেতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। অভিজ্ঞ তারিক কাজীকে রেখে একাদশ সাজিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ফলে গত ম্যাচে একাদশে খেলা রহমত মিয়া আজ চলে গেছেন বেঞ্চে। তারিকের একাদশে আসা ছাড়া বাকি দলটা অপরিবর্তিতই রেখেছেন কোচ।
বাংলাদেশের একাদশ-
আনিসুর রহমান, তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, ইসা ফয়সাল, সোহেল রানা, মো. হৃদয়, সোহেল রানা (সিনিয়র), জামাল ভূঁইয়া, শেখ মোরছালিন ও রাকিব হোসেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post