নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬০ বলে সেঞ্চুরি তুলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে তিনি ভাঙেন সাকিব আল হাসানের রেকর্ড, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি দুটি সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ৬৩ বলে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ধীর গতিতে রান তুলছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তবে পাঁচ নম্বরে নেমে মুশফিক রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন আইরিশ বোলারদের ওপর। আর তাতে ভর করে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করতে পারে। মুশফিক ছাড়াও দারুণ ব্যাট করেছেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়।
৭১ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত ৭৭ বলে ৭৩ রান করে আউট। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারেন নি এই বাঁহাতি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় তাঁর ইনিংস সাজান তিনি। মুশফিক তুলে নেন ৩৩ বলে ফিফটি। মাত্র ১ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন হৃদয়। ৩৪ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ঝড় থামে নি মুশফিকের। একের পর এক বাউন্ডারিতে ছুটছিলেন রেকর্ড সেঞ্চুরির দিকে। আর শেষ পর্যন্ত সেই মাইলফলকও স্পর্শ করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ হাজারী রানের ক্লাবে প্রবেশ করার দিনে দ্রুততম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লিটনের কণ্ঠে ঝড়লো মুশফিকের ইনিংসের মুগ্ধতা। লিটন জানিয়েছেন, এমন সেঞ্চুরি তিনি আগে কখনও দেখেননি।
লিটন বলেন, ‘সিরিয়াসলি অনেক ভালো লাগার (মুশফিকের সেঞ্চুরি)। সত্যি কথা বলতে আমি যতদিন ধরে খেলছি বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ই শেষে গিয়ে একশ করেনি। যখন দল থেকে কেউ এমনভাবে একশ করে তখন দেখতেই ভালো লাগে। সিনিয়র কেউ করলে তো আরও ভালো লাগে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post