স্পোর্টস ডেস্কঃ ধর্ষণের মামলা থেকে সন্দীপ লামিচানে রেহাই পেয়েছেন ঠিকই। তবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লামিচানের খেলতে যাওয়া নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা থামছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বারবার প্রত্যাখ্যান করা হলেও অনেক চেষ্টা করা হয়। শেষ পর্যন্ত নেপালি লেগস্পিনার সেই ভিসা আর পেলেন না।
লামিচানের ভিসা প্রত্যাখ্যান হওয়ায় নেপাল ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকরা বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে। তাদের দাবির মুখে নেপালের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনায়ও বসে। এরপর নেপাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আরও এক দফা ভিসার জন্য আবেদন করে। কিন্তু কোনো সুসংবাদ পায়নি। তাদের জন্য দুঃসংবাদই এসেছে দূতাবাস থেকে। আবারও লামিচানের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন দূতাবাস।
ভিসা না দেওয়ার কারণ হিসেবে মার্কিন দূতাবাস উল্লেখ করেছে যে, তারা সন্দেহ করছে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ধর্ষণ মামলায় খালাস পাওয়া লামিচানে ভিসা পেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর দেশে ফিরবেন না। এদিকে ভিসা না পাওয়ার বিষয়ে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চুম্বি লামা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এখন তার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম অথবা নেই বললেই চলে। নেপাল সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল তদবির করেছে। তবে ভিসা নাকচ করা হয়েছে।’
২০২২ সালের ২১ আগস্ট লামিচানের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন কাঠমান্ডু জেলা আদালত। অপরাধবিধি ২০৭৪-এর ২১৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে তাঁর (লামিচানে) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর গৌশালা মহানগর পুলিশের কাছে লামিচানের বিরুদ্ধে মামলা করে সেই মেয়ে। ৭ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডু জেলা আদালত নেপালি এই তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ৬ অক্টোবর দেশে ফিরলে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়ার পর কাঠমান্ডু জেলা আদালত গত বছরের ২২ নভেম্বর লামিচানেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি (লামিচানে) যান উচ্চ আদালতে। এরপর এ বছরের ১২ জানুয়ারি পাটান হাইকোর্টের বিচারক ধ্রুবরাজ নন্দ ও রমেশ ধাকালের যৌথ বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ২০ লাখ নেপালি মুদ্রায় জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post