নিজস্ব প্রতিবেদক:: শুরুতে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে কাজটা সহজ করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল, তাওহীদ হৃদয়-কাইল মায়ার্সরা। তবে শেষটা করলেন রিশাদ। তার তিনশো স্ট্রাইক রেটের ছোট ঝড়ে টানা দ্বিতীয়বার বিপিএল শিরোপা ঘরে তুলবো ফরচুন বরিশাল। ফাইনালের মহারণে বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগাংকে তিন উইকেটে হারিয়েছে তামিমের দল।
শেষ দিকে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বরিশাল। বলের সঙ্গে রানের ব্যবধানও বাড়তে থাকে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের রক্ষা করতে যেনো এগিয়ে আসেন রিশাদ। তার ছয় বলে ১৮ রানের ক্যামিওত শেষ পর্যন্ত বরিশালই হলো চ্যাম্পিয়ন। ছয় বলের ছোট্ট ইনিংসে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালের জয়ের নায়ক এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডারই।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আগে ব্যাট করা চিটাগাং কিংস পারভেজ হোসেন ইমন আর খাজা নাফার ব্যাটে ১৯৪ রানের বড় পূঁজি পেয়েছিলো। তবে তা শিরোপা জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত আর যথেষ্ট হয়নি। ফরচুন বরিশাল সাত উইকেট হারিয়ে জিতে গেছে ট্রফি।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু করে। তামিম-মালানের উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৬ রান তুলে নেয় দলটি। নবম ওভারের প্রথম বলে ৫৪ রান করা তামিমের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। চ্যাম্পিয়নদের অধিনায়ক ২৯ বলের ইনিংসটি সাজান নয় চার ও এক ছক্কায়। তার বিদায়ের দুই বল পরেই অর্থাৎ ওভারের চতুর্থ বলেই ফিরেন আরেক ওপেনার ডেভিড মালান। তিন বা্উন্ডারিতে ২৮ বলে ৩২ রান করেন তিনি।
পরপর দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল। কাইল মায়ার্সের ব্যাটে সেই চাপও সামলে নেয় দলটি। চারে নামে এই বিদেশী তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রান করে দলীয় ১৭২ রানের মাথায় ইনিংসের ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে প্যাভেলিয়েন ফিরেন পঞ্চম উইকেটে। তার বিদায়ের পর ৭ রান করা মাহমুদউল্লাহ ও ৪ রান করা নবীর বিদায়ে শঙ্কা জাগে বরিশালের। তবে রিশাদ ছয় বলে ১৮ করে সব শঙ্কা উড়িয়ে তিন বল আগেই চ্যাম্পিয়ন করে দেন বরিশালকে।
চিটাগাং কিংসের হয়ে শরিফুল চারটি ও নাঈম দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা চিটাগাং কিংস দুই ওপেনার নাফা ও পারভেজ ইমনের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু করে। বরিশালের বোলারদের তুলোধুনো করে বন্দরনগরীর ওপেনাররা ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। ইনিংসের ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে খাজা নাফার বিদায়ে ভাঙে চিটাগাংয়ের উদ্বোধনী জুটি। ইবাদতের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে এই বিদেশী ৪৪ বলে ৬৬ রানের নান্দনিক এক ইনিংস খেলেন। যাতে ছিলো সাত চারের সঙ্গে তিন ছক্কার মার। তার বিদায়ের পর তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্কও রানের চাকা সচল রাখেন। দারুণ ব্যাটিং করেন। রানআউটের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তিন ছক্কা ও দুই চারে ২৩ বলে ৪৪ রান করেন তিনি।
ক্লার্কের বিদায়ের পর উ্ইকেটে নামা শামীম হোসেন দুই বলে দুই রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন।তবে ওপেনার ইমন বেশ চড়াও হয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন। ৭৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজহিত থাকেন। ৪৯ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন দুই চার ও তিন ছক্কায়। হোসাইন তালাত দুই বল খেলে অপরাজিত থাকলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। তিন উইকেটে ১৯৪ রানে থামে চিটাগাং।
বরিশালের হয়ে ইবাদত ও আলী একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০