নিজস্ব প্রতিবেদক:: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও তরুণ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ পেয়েছে লড়াইয়ের পূঁজি। এই দু’জনের ব্যাটে বাংলাদেশ দল আট উইকেটে ১৪০ রানে থেমেছে। জয়ের জন্য ১৪১ রান করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভাল হয়নি। দলের রানের খাতা খুলার আগেই ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিদ তামিম। তিন বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা শান্ত লিটন দাসকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন ৫৮ রান। ইনিংসের নবম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৫৮ রানে লিটনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। বাংলাদেশের এই ওপেনার দুই চারে ২৫ বলে ১৬ রান করেন।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চারে নেমে পড়েন রিশাদ হোসেন। দ্রুত রান তুলার পরিকল্পনাতেই মাঠে নামা তার। তবে কাজে আসেনি এই পরিকল্পনা। তৃতীয় উইকেটে তিনি ফিরেন দ্রুতই। ইনিংসের দশম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৬৭ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নে ফেরেন লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। চার বলে করেন ২ রান। চতুর্থ উইকেটে তাহওীদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান্ত। ১৭ রানের জুটির পরপরই জাম্পার লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ইনিংসের ১৩তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫৪ রানের মাথায় অধিনায়কের বিদায়ে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩৬ বলে ৪১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন টাইগার অধিনায়ক।
পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ১৯ বলে ১৯ রানের জুটি গড়ে সাকিব ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১০৩ রানের মাথায় টাইগার অলরাউন্ডারকে সাজঘরে পাঠান স্টয়নিস। ১০ বলে ৮ রান করেন তিনি।তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দ্রুত ফেরেন প্যাভেলিয়নে। তিন বলে ২ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১২২ রানে ফিরে যান। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা মেহদী হাসান প্রথম বলেই ফিরেন প্যাভেলিয়নে। তার বিদায়ে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরপর দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপরই হারায় তাওহীদ হৃদয়কে। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৩৩ রানে তিনি ফিরেন প্যাভেলিয়নে। দু’টি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪০ রানের দারুণ দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেন এই তরুন। শেষ দিকে তাসকিনের ৭ বলে ১৩ ও সাকিবের ৩ বলে ৪ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৪০ রানে থামে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স ৩টি ও অ্যাডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post