স্পোর্টস ডেস্কঃ ঘটনা রোববারের। পুনেতে বাংলাদেশ দল যে হোটেলে উঠেছে সেখানে সাংবাদিকরা যান পেশাগত কাজে। আর সেখানে দেশীয় গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে মেজাজ হারান টাইগারা ওপেনার লিটন দাস। দলের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে বের হয়েছিলেন তিনি।
পুনের টিম হোটেল লবিতে সাংবাদিকদের দেখেই চটে যান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারা লিটন। সেই সময় নিরাপত্তাকর্মীদের ডাকেন তিনি। তাদের মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের হোটেল প্রাঙ্গণ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়! যা নিয়ে বেশ সমালোচিত হচ্ছেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার।
সোমবার বিসিবির পক্ষ থেকে লিটনের এমন আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ ঘটনায় দুঃখিত। পাশাপাশি ঘটনাটি দেশের জন্যও লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন খালেদ মাহমুদ। যদিও এটি লিটন ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি বলে মনে করেন তিনি।
মাহমুদ বলেন, আমরা জিনিসটাকে ইতিবাচক বা নেতিবাচক, দুইভাবেই নিতে পারি। সেই সময়ের তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি আমি জানি না। লিটন বা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার কখনও এমন করেছে কি না, আমার জানা নেই। বা লিটনও আমার মনে হয়, ও এরোগেন্ট ছেলে, এমন আমি কখনও দেখিনি। কিন্তু ও কেন বলল ওই সময়ের কথাটা, সেটা তো বলেনি। যেটা ওর বিবৃতি ছিল, আমি যেটা বলেছি… ও আমাকে বলেছে, ‘স্যার আমি নির্দিষ্ট কোনো কারণে বলিনি। আমি শুধু তখন অস্বস্তিবোধ করছিলাম। যে কারণে আমি বলেছি।’ হয়তোবা যেটা হয়, একটা দল হারলে অনেক সময় অনেক নেতিবাচকতা কাজ করে। নিজেদের গুটিয়ে রাখতে চায়।’
লিটনের এ ঘটনা দেশের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করে মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি আবার বলছি, কোনো কিছুই ইচ্ছাকৃত ছিল না। আমরা সব সময় ভাবি যে আপনারা কষ্ট করে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। এটা আমাদের দেশের জন্যও লজ্জাজনক ব্যাপার, যদি আমাদের মিডিয়াকে এখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। এটা আমাদের জন্যও ঠিক না। আমরা সব সময় আপনাদের ছবি তোলার জন্য, ভিডিও করার জন্য উৎসাহ দিই।’
এদিকে আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সে ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন লিটন। সোমবার ফেসবুক পোস্টে হাত জোর করা একটি ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘গতকাল টিম হোটেলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আসলে আমি বুঝতে পারিনি সেখানে এত গণমাধ্যমকর্মীদের অবস্থান ছিল। হুট করে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। মিডিয়ার প্রতি আমি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার পেছনে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post