নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলে চার হার ও এক ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত। মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) টেবিলের একেবারে তলানির দিকে ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। উঁকি দিচ্ছিল রেলিগেশনের শঙ্কা। এমতাবস্থায় তড়িঘড়ি করে তিন তারকা সাকিব আল হাসান, রনি তালুকদার ও মেহেদী হাসান মিরাজকে খেলানোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আগের দিন রাতে উড়িয়ে আনা হয়েছে জাতীয় দলের ম্যাচ শেষ হতেই।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে শনিবার বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এই তিন জনকেই একাদশে রাখে মোহামেডান। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানকে দেওয়া হয় নেতৃত্ব। এই তিন জনই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মোহামেডানকে এনে দিয়েছেন প্রথম জয়ের স্বাদ। সাকিবের নেতৃত্বে ডিপিএলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২২ রানে হারিয়েছে মোহামেডান।
মোহামেডানের দেওয়া ২৯১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে পড়ে শেখ জামাল। অথচ ইনিংসের শুরুটা বেশ ভালো ছিল দলটির। উদ্বোধনী জুটি সাইফ হাসান ও সৈকত আলি মিলে যোগ করেন ৮৩ রান। তবে শুরুটা ভালো করলেও, জয়ের দোড়গড়ায় পৌঁছাতে পারেনি।
মিডল অর্ডারে নেমে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে আশা দেখিয়েছিলেন পারভেজ রাসুল। তবে পারেননি শেষ পর্যন্ত। এর আগে সাইফ হাসান খেলেছেন ৫৮ রানের ইনিংস। এর বাইরে ফজলে রাব্বি ৩৬ রান করেছেন।
মোহামেডানের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন আবু জায়েদ চৌধুরি রাহি ও জ্যাক লিনটট। নাজমুল ইসলাম অপু ও মেহেদী মিরাজ ১টি করে উইকেট লাভ করেন। সাকিব পুরো দশ ওভার বল করলেও, কোনো উইকেট পাননি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানের পুঁজি পায় মোহামেডান। ম্যাচের শুরুতে ৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় দলটি। রনি তালুকদার ও ইমরুল কায়েস মিলে সেই জুটি গড়েন। রান পেলেও, ইনিংস বড় করতে পারেননি রনি। ওপেনিংয়ে নেমে ৩২ রান করেছেন। ৪৪ বলের ইনিংসে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছয় হাঁকান এই ডানহাতি।
এরপর টপ অর্ডারে নামানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। তিনি অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ১৩ বলে ৫ রান করেছেন কেবল। মিরাজের বিদায়ে চারে নামা সাকিবও রান করতে পারেননি। এই বাঁহাতি ৯ বলে ৫ রান করেছেন মাত্র। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া মোহামেডানের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনে চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের দারুণ জুটি গড়েন। সেই জুটিতে বড় রানের ভিত পায় মোহামেডান। তবে মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে দুই তারকা বিদায় নিলে, ফের বিপদে পড়ে মোহামেডান।
সেঞ্চুরির আশা দেখিয়েও করতে পারেননি ইমরুল। ১০১ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। এদিকে মাত্র ২ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৫১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানে থামেন। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বড় রান করতে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার (৮ রান)। ছয়ে নামা মাহিদুল অঙ্কন ২২ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে ৪ ছক্কায় আরিফুল হকের ৩৯ ও ২টি করে চার এবং ছয়ে জ্যাক লিনটটের ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে প্রায় তিনশ ছুঁইছুঁই রানের পুঁজি পায় মোহামেডান।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে পারভেজ রাসুল ও আরিফ হোসেন ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post