নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে আগের দিনই ভালো অবস্থানে ছিল সাউথ জোন। সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছিল। দ্বিতীয় দিনে এসে সেই সাদমানের ব্যাটেই বিশাল সংগ্রহ পেল দলটি। দিন শেষে ম্যাচের লাগাম সাউথ জোনের হাতেই।
৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল সাউথ জোন। আজ আবার সেখান থেকেই ব্যাটিং শুরু করেন সাদমান ও অধিনায়ক ফজলে রাব্বি। দুজনের ১৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি থামে শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানে। ৬ বাউন্ডারিতে ১৭৭ বলে ৬১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাদমান।
তবে পঞ্চম উইকেটে সাদমান জুটি গড়েন অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ূবের সাথে। দুজনে মিলে ২১৮ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েন। আর এতে শক্ত ভিত পায় সাউথ জোন। সাদমানের বিদায় ভাঙে সেই জুটি। তবে এর আগে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। হাঁকান ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। আড়াইশ পূরণের মাত্র ৪ রান বাকি থাকতে আউট হন।
প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার সেরা ২৪৬ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তার ৪৪৮ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ২৯ বাউন্ডারি ও ৩ ছয়ের মারে। এর আগে ২০১৮ সালে এনসিএলে ১৮৯ রানের ইনিংস ছিল এতদিন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তবে সব ছাপিয়ে গেছেন এবার তিনি।
সাদমানের বিদায় নেন দলীয় ৪৬৯ রানে। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি দলটি। সাউথ জোন ৫ উইকেট হারিয়ে দলীয় ৫০০ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শেষ পর্যন্ত। ৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন মার্শাল ও মইন খান। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি পূরণ করেন মার্শাল। তিনি ২১৪ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ১২০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ১৮ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন মইন।
সেন্ট্রাল জোনের হয়ে ৯ জন বোলার বল করেছেন। এর মধ্যে হাসান মুরাদ ২টি উইকেট নেন সর্বোচ্চ। ১টি করে উইকেট লাভ করেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন।
৫০০ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালোভাবেই দিন পার করেছে সেন্ট্রাল জোন। দিন শেষে ১১ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৩ রান সংগ্রহ করেছে দলটি। দুই ওপেনার আব্দুল মজিদ ১৬ ও সৌম্য সরকার ১৫ রান করে অপরাজিত আছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post