স্পোর্টস ডেস্ক:: অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেন উইল ইয়াং। পাওয়ার প্লে’র পর প্রথম উইকেট শিকার করা হাসান মাহমুদ এবার ফিরিয়েছেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করা উইল ইয়াংকে।
২৯২ রানের টাগ্যেটে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে হাসানের বলে রাচিন রবীন্দ্র দলীয় ৭৬ রানে সাজঘরে ফিরেন। সাত চার ও এক ছয়ে ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে উইল ইয়াং ও হেনরি নিকোলাস গড়েন ১২৮রানের জুটি। ইনিংসের ৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ২০৪ রানে ইয়াংকে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ তুলে সাজ ঘরে পাঠান হাসান মাহমুদ। আট চার ও দুই ছক্কায় ৯৪ বলে ৮৯ রান করেন ইয়াং।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩৪.২ ওভারে দুই উইকেটে ২১৫ রান। ৭৪ রানে হেনরি নিকোলাস ও ১ রানে টম লাথাম অপরাজিত আছেন।
এর আগে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে সৌম্যের শতকে বাংলাদেশ ২৯২ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিকদের। ক্যারিয়ার সেরা ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। সরকার যে এখনো প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপ ছারখার করে দিতে পারেনি, ফুরিয়ে যাননি সেটাই দেখালেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজে সমালোচনার মুখেই দুর্দান্ত, অপ্রতিরোধ্য, নান্দনিক এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজের ফিরে আসার জানান দিলেন বাংলার এই মারমুখী ব্যাটার।
ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে চাপের মুখে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। অন্যদের ব্যর্থতার দিনে সৌম্যের ব্যাটে স্বতি খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। তার সেঞ্চুিতেই দলীয় রান বাড়াচ্ছে বাংলাদেশও। ১১৬বলে ১৩ চারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে এই থামেন ১৬৯ রানে।
বিপর্যয়ে পড়া দলের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন সৌম্য। তাকে দলে নেওয়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিলো অনেক। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যর্থতার পর সেই সমালোচনা আরো বাড়ে। তবুও কোচ-অধিনায়ক আস্থা রাখেন সৌম্যের উপর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন তিনি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ব্যাটাররা রীতিমতো যাওয়া-আসার মিছিল করছেন। একে একে ফিরে গেছেন বিজয়, শান্ত, লিটন, হৃদয়রা। দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে টানছেন সৌম্য সরকার। এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করছেন তিনি। তুলে নিয়েছে দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি।
ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১১ রানের মাথায় ওপেনার বিজয়কে হারায়। ১২ বলে ২রান করেছেন বিজয়।
দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্যের সাথে অধিনায়ক শান্ত জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে তিনিও ফেরেন দ্রুত। ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৩৬ রানের মাথায় সাজ ঘরে ফিরেন তিনি ৯ বলে ৬ রানে।
অর্ধশতকের ঘরে পৌছার আগেই লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় দশম ওভারের চতুর্থ বলে ১১ বলে ৬ রান করে প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন সৌম্য সরকার ও তাওহীদ হৃদয়। তবে তাদের জুটিও বেশি দূর যেতে পারেনি। সৌম্যে রেখে হৃদয়ও দ্রুত প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন। ইনিংসের ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৮০ রানে ৬ বলে ১২ রান করে ফিরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিক-সৌম্য গড়েন ৯১ রানের জুটি। ইনিংসের ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে জ্যাকব ডাফির শিকারে মুশফিকের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। পাঁচ চারে ৫৭ বলে ৪৫ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেন তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের পর ষষ্ট উইকেটে মিরাজকে নিয়ে গড়েন ৬১ রানের দায়িত্বশীল আরেকটি জুটি। ইনিংসের ৪৪তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। ২৬ বলে ১৯ রান করেন মিরাজ। এরপর সপ্তম উইকেটে তানজিদ সাকিবকে নিয়েও জুটি গড়েন সৌম্য। ৪০ রানের জুটি ভাঙে সাকিবের বিদায়ে।১১ বলে ১৩ রান করেন এই পেসার।
শেষ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ২৯১ রানে থামে সৌম্যের ব্যাট। ২২ চার ও ১ ছক্কায় ১৫১ বলে ১৬৯ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলে ফিরে আসার গল্প লিখেন তিনি। তার বিদায়ের পর কোনো রান তুলার আগেই দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায়।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে জ্যাকব ডুফে ও র্র্ক ৩টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post