নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে আগেই। এবার লক্ষ্য স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করা। সিরিজের শেষ ম্যাচে জাকের আলী অনীকের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশ ১৮৯ রান তুলেছে। ধবলধোলাই এড়াতে হলে ক্যারিবিয়ানদের ১৯০ রান করতে হবে।
কিংস্টনে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও লিটন দাস উদ্বোধনী জুটিতে তুলেন ৪৪ রান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে লিটনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। টাইগার অধিনায়ক তিন চারে ১৩ বলে ১৪ রান করেন।
এরপর দ্রুতই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ষষ্ট ওভারের শেষ বলে ইমনও ফিরেন প্যাভেলিয়নে। চারটি চার ও দু’টি ছক্কায় ২১ বলে ৩৯ রান করেন এই ওপেনার। দলীয় ৫৪ রানে তার বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা। ১০ রান তুলতেই ফিরেন তিনে নামা তানজীদ তামিম। দলীয় ৬৫ রানে ইনিংসের অষ্টম ওভারে ব্যক্তিগত ৯ রানে ফিরেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে মেহদী হাসান মিরাজকে নিয়ে জাকের আলী অনীক গড়েন ৩৭রানের জুটি। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১০২ রানে মিরাজ ফিরেন সাজঘরে। তার আগে তিন চারে ২৩ বলে ২৯ রান করেন তিনি। এরপর রানআউটে কাটা পড়ে পরপর ফিরে যান শামীম হোসেন ও মেহদী হাসান। ১৫তম ওভারে এক সঙ্গে দু’জনেই ফিরেন। শামীম ২ রান করেন। মেহদী কোনো বলই খেলার সুযোগ পাননি।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়া বাংলাদেশের হয়ে এবার হাল ধরেন জাকের ও তানজীম সাকিব। সপ্তম উইকেটে ৫০ রান তুলে নেন তারা। এক চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে ১৭ রানে তানজীম সাকিব দলীয় ১৬৪ রানে ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন।
অষ্টম উইকেটে জাকের আলী শেষ ওভারে রিশাদকে নিয়ে ২৫ রান তুলেন। ৪১ বলে তিনটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৭২ রানের দারুণ এক টর্নেডো ইনিংস খেলেন। ব্যাটিংয়ে নামলেও কোনো বলই খেলার সুযোগ পাননি রিশাদ। শেষ ওভার একাই ব্যাট করেন অনীক। বাংলাদেশ থামে সাত উইকেটে ১৮৯ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রোমারিও শেফার্ড দু’টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০