স্পোর্টস ডেস্কঃ ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই প্রথম নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত। রোববার ৪ উইকেটে জিতেছে রোহিত শর্মার দল। ধর্মশালায় কিউইদের করা ২৭৩ রানের জবাবে জয়ের ভিত তৈরি করে দেন বিরাট কোহলি। আসরে টানা পাঁচ জয় পেয়ে যায় ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন ভারতের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও রোহিত শর্মা। দুজনে মিলে পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেছেন ৬৩ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে পরপর দুই ওভারে রোহিত এবং গিলকে ফিরিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার লকি ফার্গুসন। ৪৬ রান করা ভারত অধিনায়ককে সাজঘরে ফিরিয়ে ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তিনি।
অপ্রত্যাশিতভাবে ফিরে যান গিলও, ফার্গুসনের বলেই আপারে কাটে আউট হন ২৬ রানে। চারে নামা শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন কোহলি। দলীয় ১২৮ রানে আইয়ারকে হারায় ভারত। ২৯ বলে ৩৩ রান আসে ডানহাতি এই ব্যাটারের কাছ থেকে। এরপর কেএল রাহুলকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন কোহলি। এই জুটিতে আসে ৫৪ রান। দলীয় ১৮২ রানে রাহুল ও ১৯১ রানে সূর্যকুমার যাদব ফিরলে ফের চাপে পড়ে ভারত।
৩৫ বলে ২৭ রান আসে রাহুলের ব্যাট থেকে। এর আগে ৬০ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬৯তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন কোহলি। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়েন কোহলি। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ১০৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৯৫ রানে আউট হন তিনি। সেঞ্চুরির জন্য ম্যাট হেনরিকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন অপরাজিত থাকতে হয় তাকে।
৪৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত টিকে থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জাদেজা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন ফার্গুসন। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি এবং ট্রেন্ট বোল্ট। এর আগে ডারিল মিচেলের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ২৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় কিউইরা। হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ শামি শিকার করেন ৫ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়েকে (০) শুরুতে মোহাম্মদ সিরাজ তুলে নেন। অন্য ওপেনার উইল ইয়ংকে (১৭) সাজঘরে ফেরান শামি। দলীয় ১৯ রানে জোড়া উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে টম লাথামের দল। তিনে নামা বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার রচিন রবীন্দ্র ও চারে নামা ডারিল মিচেল। ১৫৯ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন তারা। ফিফটির পর দুই ব্যাটারই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন।
রবীন্দ্র ৭৫ রান করে ফিরলে জুটি ভাঙে। বাঁ-হাতি ব্যাটার ৮৭ বল খেলে ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ওই রান করেন। মিচেল শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৩০ রান করেন। তার ১২৭ বলের ইনিংস সাজানো ছিল নয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কার শটে। কিউইদের এই দুই ব্যাটার ছাড়া ব্যর্থ হয়েছেন বাকিরা। গ্লেন ফিলিপস ২৬ বলে ২৩ রান করেন। মার্ক চাপম্যান (৬), মিশেল সাটনাররা (১) রান করতে না পারায় তিনশ’ ছাড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েও আটকে যায় নিউজিল্যান্ড।
Discussion about this post