স্পোর্টস ডেস্ক:: বিশ্ব ক্রিকেটে বড় বড় তারকা অনেক আছেন নিউজিল্যান্ডের। ক্রিকেটের শক্তিশালী দেশ হিসেবেই পরিচিত কিউরা। অথচ তাদের ঘরে একটি মাত্র বৈশ্বিক শিরোপা। আইসিসির আসরগুলোতে বারবার ফাইনাল খেললেও ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে তাদেরকে। শিরোপা মঞ্চে প্রতিবারই হতাশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড।
২০০৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০১৫ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছোঁয়নি কিউদের। এতো হতাশার মাঝেও আছে আশার সঞ্চার, দারুণ সুখস্মৃতি। আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি একবার জিতেছিলো নিউজিল্যান্ড। আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে, নাইরোবিতে ২০০০ সালের আসরের ফাইনালে এই ভারতকেই হারিয়ে ট্রফি জিতেছিলো নিউজিল্যান্ড। ওই সময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নাম ছিলো আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত ওই আসরে প্রথমবার এবং সবশেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো নিউজিলান্ড।
আগে ব্যাট করে সৌরভ গাঙ্গুলির সেঞ্চুরিতে ভারত করেছিল ২৬৪ রান। ১৩০’র পেরুতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলা স্টিভেন ফ্লেমিংয়ের নিউজিল্যান্ড ক্রিস কেয়ার্নসের দারুণ অপরাজিত সেঞ্চুরি ও ক্রিস হ্যারিসের সঙ্গে ১২২ রানের জুটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
২৫ বছর আগেই সেই ফাইনাল টিভিতে দেখে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের তারকা উইল ইয়াং। তখন থেকেই ক্রিকেটের মায়ায় জড়িয়ে পড়া এই তারকা এবার নিউজিল্যান্ডকে আরো একবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আরো একবার কিউদের উৎসবে ভাসাতে চানে, আড়াই দশক আগের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চান। সেই সময়ের আট বছরের বালক ইয়াং এবার ভারতকে হারানোর ছক কষছেন।
ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের আগের দিন উইল ইয়াং পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “ওই স্কোয়াডে আইকনিক কিছু ক্রিকেটার ছিলেন এবং এখনকার দলের অনেকেই ওই ক্রিকেটারদের আদর্শ মেনেই বেড়ে উঠেছে। ২৫ বছর পর সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ পাওয়াটা দারুণ। আমার বয়স তখন ছিল আট বছর, সবে খেলাটির ভালোবাসায় পড়তে শুরু করেছিলাম। ওই টুর্নামেন্টে নিউ জিল্যান্ড যেভাবে রাজত্ব করেছিল, তা ভালোভাবেই মনে আছে। তাদেরকে জিততে দেখাটা ছিল দারুণ ব্যাপার।”
চ্যাম্পিয়ন হতে চান জানিয়ে নিউজিল্যান্ডের এই তারকা বলেন, “দেশ ছাড়ার সময় প্লেনে ওঠার আগে ওই সময়টার কথা ভাবছিলাম আমি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড ঘোষণার দিন স্কট স্টাইরাস (সেবারের জয়ী দলের অলরাউন্ডার) ছিলেন। ওই দলের এবং টুর্নামেন্টে তাদের পারফরম্যান্সের কিছু গল্প শুনেয়েছিলেন তিনি। অতীতকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারটি ভালো। নিউ জিল্যান্ড আগেও কাজটা করেছে (চ্যাম্পিয়ন হয়েছে)। এখন ব্যাপারটা হলো সেই ধারা ধরে রাখার। আশা করি, দিন দুয়েকের মধ্যে আমরাও কাজটি করতে পারব।”
আইসিসির বড় আসরে ভারতকে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে নিউজিল্যান্ডের। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ভারতকে হারায় দলটি। ২০২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে টেস্টের শিরোপা প্রথমবার জিতেছিলো ব্ল্যাকক্যাপসরা। উইল ইয়াং বলেন “টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালসহ সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিপক্ষে বেশ কিছু দারুণ লড়াই আমাদের হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে জমজমাট কিছু ম্যাচ খেলেছি আমরা। তবে সত্য বলতে, সেসবের মূল্য এখানে কমই আছে। নির্দিষ্ট দিনে জ্বলে ওঠার ব্যাপার এখানে, অতীতে পড়ে থাকার সুযোগ নেই। আমরা চেষ্টা করব মানিয়ে নিতে এবং রোববার আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ যেটাই আসুক, আশা করি আমরা নিজেতের খেলা মেলে ধরব ও স্নায়ুর চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।”
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০